চট্টগ্রামে নারী শান্তি নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালা

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্থায়ীকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরের হোটেল আগ্রাবাদে গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব উইমেন পিসবিল্ডার্সসের (জিএনডব্লিউপি) সহযোগিতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

চন্দনাইশ ও কক্সবাজার সদর এবং উখিয়া উপজেলার ৪৮ জন অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে ৪টি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালা।

আজ সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জিএনডব্লিউপি’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. জেসমিন নারিও গ্যালাসি, বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমি, জিএনডব্লিউপি’র বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার পাহিমা আহমেদ, বিএনপিএস’র উপপরিচালক নাসরিন বেগম এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আহমেদ।

আরও পড়ুন : ‘জনস্থানে নারীর নিরাপত্তা’ শীর্ষক ডিইসির কর্মশালা

ড. জেসমিন নারিও গ্যালাসি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা এখনও বিভিন্নভাবে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনতে হবে। যৌন হয়রানি, সহিংসতা ও সংঘাত বন্ধে স্থানীয় সরকার, নাগরিক সমাজ এবং বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোর মধ্যে পদ্ধতিগত সমন্বয় করে এগোতে হবে। এজন্য স্টেয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। স্টেয়ারিং কমিটিকে সঠিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।

কর্মশালায় উপজেলা পর্যায়ে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ, সংঘাতময় পরিস্থিতে করণীয় ও দুর্যোগকালীন সময়ে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ সংক্রান্ত আলোচনা হয়।

তিনদিনে ১৯টি সেশনে স্থানীয়করণ কর্মশালায় নারী শান্তি নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য, জেন্ডার রীতিনীতি, কমিউনিটির মধ্যে দ্বন্দ্বের মূল কারণ, বাংলাদেশে শান্তি ও সংঘাত, মানবাধিকার এবং খসড়া উন্নয়নে বিএনপিএসের কাজের অভিজ্ঞতা এবং রোডম্যাপ নির্ধারিত হয়। সেখানে বাল্য বিবাহ, মাদক, সহিংসতা, দারিদ্র্যতা ও ধর্মীয় সংঘাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে নারীদের নানা প্রতিবন্ধকতা উঠে আসে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক এবং উন্নয়নকর্মীরা অংশ নেন।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm