চট্টগ্রামের চুরির ঘটনায় দলবেঁধে মো. ওসমান (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর ওসমানের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার ( ১১ নভেম্বর) রাত ১১টায় বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের সরল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— রেদুয়ান হক মানিক ও মাহমুদুল হক।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে দিনদুপুরে টাকা লুট, ধরা খেল সেই ‘মনছুর ডাকাত’
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৭/৮ দিন আগে ওসমানের চাচা শহীদুল আলমের বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ ৪১ হাজার টাকা চুরি হয়। চুরির ঘটনার পর থেকে ওসমান আত্মগোপনে চলে যায়। গত সোমবার বিকেলে ওসমান বাড়ি ফিরলে চাচা, চাচাতো ভাইসহ আরও অনেকে ওসমানকে চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তাকে গণপিটুনি দেয়। পরে চুরির কথা স্বীকার করে স্বর্ণালংকার ফেরত দেয়। কিন্তু নগদ ৪১ হাজার টাকা চুরির কথা অস্বীকার করে। ওই টাকা উদ্ধারে ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা ওসমানকে ফের গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভ দেব বাপ্পী জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই ওসমানের মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহত মা রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে যদি চুরি করে থাকে দেশে আইন আছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
ইউবি/আরবি