চট্টগ্রামে খাবারের দোকান থেকে ওষুধের দোকান সবখানেই নয়ছয়। খাবারের দোকানে খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে। বাসি খাবার সংরক্ষণের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার প্যাকেটে নতুন স্টিকার লাগিয়ে চলছে বিক্রি। অভিন্ন অবস্থা ওষুধের দোকানেও। সেখানেও আছে ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) নগরের মধ্যম হালিশহর এলাকায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধর পড়ে এসব চিত্র। অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান ও রানা দেবনাথ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্যামেরাম্যান মো. আফতাবুজ্জামান।
আরও পড়ুন : চকবাজার থেকে ওয়াসা—শোধরাল না কুটুমবাড়ি
জানা যায়, অভিযানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও প্রক্রিয়াকরণ, প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় ও সরবরাহ না করা, প্যাকেট করা পাউরুটিতে ছত্রাকের উপস্থিতি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুটের প্যাকেটে নতুন মেয়াদের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রির অপরাধে নিউ মডেল ফুড বেকারি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, মেয়াদবিহীন দই বিক্রি ও বাসি খাবার বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ক্যাফে আম্মাজানকে ৮ হাজার টাকা; মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় করায় স্বপ্ন নীল স্টোরকে ৪ হাজার টাকা এবং নির্ধারিত মূল্য কেটে অধিক মূল্যে ওষুধ বিক্রি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে খান মেডিকেল হলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার বলেন, হালিশহর এলাকায় তদারকি কার্যক্রমের সময় খাবার এবং ওষুধের দোকানসহ চারটি প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে মোট ৬২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম