চট্টগ্রামে করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ‘শতভাগ শিক্ষার্থী’

চট্টগ্রামে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার প্রথম ডোজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী প্রায় পৌনে ৯ লাখ শিক্ষার্থীকে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তবে এর বাইরে কেউ যদি বাদ পড়ে, তাদেরও তালিকা করে টিকা দেওয়া হবে।

এর আগে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে মহানগর ও জেলা পর্যায়ের মোট আট লাখ ৭২ হাজার ২৫৬ জন শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা প্রদানের জন্য একটি চাহিদাপত্র সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল।

শতভাগ শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না : তথ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এবং গত ৮ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ উপজেলার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট আট লাখ ৭২ হাজার ২৫৬ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। মহানগরে ৩২ হাজার ৮৪ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজও প্রদান করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন না পেয়ে থাকবে না।

আরও পড়ুন: ‘ভয়’—৩ মৃত্যুর দিনে শনাক্তের চূড়ায় চট্টগ্রামে করোনা

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন স্কুল ক্যাম্পেইনের আওতায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নির্ধারিত স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে মোট দুই লাখ ৮৯ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে ফাইজারের প্রথম ডোজ। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮৪ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে স্কুল ক্যাম্পেইনের আওতায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অফিসে একই বয়সী মোট পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে। যেসব শিক্ষার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শিক্ষা অফিস থেকে তাদের তালিকা পাওয়া সাপেক্ষে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৮ লাখ ৭২ হাজার ২৫৬ জন শিক্ষার্থী সবাই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়েছে। অনেকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনও গ্রহণ করেছে। যদি কোনো শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণ থেকে বাদ পড়ে তারাও ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে।

আরও পড়ুন: টিকা সনদ না দেখেই খাবার পরিবেশন—সুলতান ডাইনসহ ৬ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

জেলা সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান চলমান রয়েছে। টিকা দেওয়া থেকে কেউ বাদ যাবে না।’

প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নগরের চার স্কুলকক্ষে শিক্ষার্থীদের টিকাদান দেওয়া শুরু হয়। পরে আরও একটি কেন্দ্র বাড়ানো হয়। এরপর টিকা কার্যক্রমে আরও গতি বাড়াতে ১০ জানুয়ারি থেকে নগরের চারটি কমিউনিটি সেন্টার ও স্টেডিয়ামে একযোগে টিকাদান শুরু হয়।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!