যুবলীগ ‘নেতার কাণ্ড’—চট্টগ্রামে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করেই গ্রেপ্তার ঢাকায়

চন্দনাইশে অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্যসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য গিয়াস উদ্দিন সুজনকে আটক করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে নগরের মতিঝর্ণা এলাকা থেকে সহযোগী মাঈনউদ্দীন সাঞ্জুকে (৩৯) আটক করা হয় বলে জানান র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মিডিয়া মো. নুরুল আবছার।

আরও পড়ুন: অমানবিক—টাকার জন্য ১৯ ঘণ্টা লাশ আটকে রাখল মেডিকেল সেন্টার

এ সময় মাঈনউদ্দীনের কাছ থেকে থেকে ১ টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলবার ও ১৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

আটক গিয়াস উদ্দিন সুজন চন্দনাইশ থানার হাশিমপুর ইউনিয়নের আবদুল মোনাফের ছেলে। মাঈনউদ্দিন সাঞ্জু শরীয়তপুর জেলার দামুডা ইউনিয়নের আকা খলিলুর রহমানের ছেলে (৩৯)।

জানা যায়, ৩০ আগস্ট চন্দনাইশের হাশিমপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে গিয়াস উদ্দিন প্রকাশ্যে গুলি ছুড়েন।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সেই গুলি ছোড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: ‘অস্ত্র উঁচিয়ে’ ১০ বছর বহদ্দারহাট কাঁপাচ্ছেন ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী’ জাবেদ

ভিডিওতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজন প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে গুলি ছুড়ছেন৷ ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবশেষে ঢাকা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই নাশকতা এবং গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো অবৈধ বলেও তারা স্বীকার করেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ওইদিনের ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে দুই পক্ষ।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!