চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপো এলাকায় অটোরিকশায় হঠাৎ পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় গাড়িতে থাকা দুই নারী গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন।
রোববার (২০ এপ্রিল) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে আতুরার ডিপো চামড়া গুদামের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- রাউজান পৌরসভার ছিটিয়াপাড়া শান্তিনগর এলাকার কবির আহমেদের মেয়ে লায়লা (৫০) এবং জানালী হাট উজির আলী মাঝির বাড়ির বাদশা মিয়ার মেয়ে ঝরনা (৩০)। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন : ভোট শুরুর আগেই সীতাকুণ্ডে সংঘর্ষ—দুই যুবক আটক, সঙ্গে ১০ পেট্রলবোমা
পুলিশ বলছে, অটোরিকশায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত নয়। বিষয়টি তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অটোরিকশা চালক মো. জমির জানান, ভোরে অটোরিকশার যাত্রীরা কুতুবদিয়া মালেক শাহ’র দরবারে যাচ্ছিলেন। আতুরার ডিপো এলাকায় এলে কয়েকজন লোক অতর্কিত পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা ৫ যাত্রীর মধ্যে দুজন দগ্ধ হয়। তবে সিলিন্ডারের লাইন ছিঁড়ে দেওয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। পরে তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, অটোরিকশার দুযাত্রীকে ভোরে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তাদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থলে থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। কেন বা কারা, ছিনতাইকারী নাকি পারিবারিক দ্বন্দ্ব, কী কারণে গ্রাম থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে অ্যাটাক করেছে সেটি তদন্ত করে বলা যাবে। গাড়িতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নয়। গাড়িতে যারা যাত্রী ছিলেন তারা সুস্থ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারব।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এসএ/আরবি