চট্টগ্রামের ৫ মুখপোড়া হনুমান পাচারের টার্গেট ছিল আমেরিকায়

চট্টগ্রাম নগরে পাচারের সময় বিলুপ্ত প্রজাতির পাঁচটি মুখপোড়া হনুমানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে শাহ আমানত সেতু এলাকায় একটি অটোরিকশায় তল্লাশি করে এসব হনুমান উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হলেন— মো. সেলিম (৫৩), সালাউদ্দিন কাদের (৩৫) ও নুরুল কবির (৩১)।

শনিবার (৪ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান।

উপকমিশনার দক্ষিণের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে বন্য প্রাণী পাচারের প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম। বেশিরভাগ দুর্লভ বন্য প্রাণী আলীকদম থেকে সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম থেকে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলা হয়ে ভারতসহ ইউরোপ-আমেরিকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশে এসব প্রাণীর অনেক দাম। যে প্রাণী যত বেশি বিরল তার দাম ততো বেশি। তাই লোভে পড়ে পাচারকারীরা এসব প্রাণী ধরে বিদেশে পাচার করে।

আরও পড়ুন : বনের কাঠ পাচারের সময় ডবলমুরিংয়ে ধরা খেল ৮ চোরাকারবারি

দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) বন্য প্রাণী সংরক্ষণের জন্য সারাবিশ্বে গোয়েন্দা নজরদারি পরিচালনা করছে। সেই ধারাবাহিকতায় পুলিশের হেডকোয়াটার্সের তথ্যের ভিত্তিতে শাহ আমানত সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি মুখপোড়া হনুমানসহ তিন পাচারকারীকে আটক করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

তিনি বলেন, হনুমানগুলো আলীকদম থেকে সংগ্রহ করে প্রথমে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্সবাজারের শাপলাপুর এলাকা থেকে ঢাকায় নিয়ে অন্য একটি দলের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল আটকদের। তথ্যমতে, তারা আন্তর্জাতিক বন্য প্রাণী পাচারচক্রের সক্রিয় সদস্য।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার মো. সেলিমকে গত ২৪ মে চারটি হর্নবিল পাখিসহ আটক করে বাঁশখালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তার ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়। পরে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

উদ্ধার করা হনুমানগুলো বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর এবং এ ঘটনায় বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm