তীব্র ভূমিকম্পের আঘাত হলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ৫.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে ভূমিকম্পে দেশের কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। মাঝারি মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল চট্টগ্রাম থেকে ১৭৪ কিলোমিটার দূরে।
ভূমিকম্পে কক্সবাজার, সিলেট, কুড়িগ্রামের মতো জায়গাও কেঁপে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চট্টগ্রামের বাসিন্দারা জানান, তারা জোর কম্পন অনুভব করেছেন। অনেকে ভয়ে ঘুম ভেঙে বাসা থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। ভূমিকম্পের সময় মুসল্লীরা ফজরের নামাজের জামাতে ছিলেন। তখনও ফজরের নামাজ শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘ভূমিকম্প নয়’ সামান্য বৃষ্টিতে মুহূর্তেই চুরমার ১৫০ ফুট সড়ক
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে এ ভূ-কম্পনের উৎপত্তি। উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারে এর মাত্রা ছিল ৬.১। ভূমিকম্পের মাত্রা ও উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক সংস্থা ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয়।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের হাখা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম ও ভারতের মিজোরামের থেনজল থেকে ৭৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। ভূপৃষ্ঠের ৪২ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের সৃষ্টি হয়।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, আসাম, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।