কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আট ইউপিতে গত ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীসহ ২৬ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
জামানত হারানো প্রার্থী বেশি উপজেলার হারবাং ও ডুলাহাজারা ইউপিতে। এ দুটিতে আটজন করে ১৬ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
ডুলাহাজারা ইউপিতে পড়েছে ১৯ হাজার ৮৯৭ ভোট। এ ইউপিতে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। জামানত বাঁচানোর জন্য প্রত্যেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর প্রয়োজন ছিল ২ হাজার ৪৮৭ ভোট। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার ১ হাজার ২৩২ ও বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ২ হাজার ১৪৪ ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন।
জামানত হারানো অন্য প্রার্থীরা হলেন- এমরানুল হক, গিয়াস উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. নাঈম, মো. সেলিম ও সোহেল মাহমুদ।
আরও পড়ুন : কক্সবাজারে গণধর্ষণ : চকরিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার মামলার তিন নম্বর আসামি
হারবাং ইউপিতে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে আটজন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন- ছৈয়দ নুর, জয়নাল আবেদীন, জাহেদুল ইসলাম, বুরহান উদ্দিন, মুরাদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. শুয়াইব ও সাবের আহমদ।
চিরিংগা ইউপিতে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. শাহ নেওয়াজ রুমেল মাত্র ৬৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে হারিয়েছেন জামানতও। জামানত হারানো অন্য দুজন হলেন- নাজের হোছাইন ও মো. করিম।
বরইতলী ইউপিতে চার প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন একজন। তিনি হলেন মো. রফিক আহমদ ছিদ্দিকী।
খুটাখালীতে ছয় প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন-আজিজুল হক, মো. কায়েস ও মো. রিহাবুল আলম।
ফাঁসিয়াখালী ইউপিতে সাত প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারিয়েছেন।
তবে বমুবিলছড়ি ইউপিতে তিনজন প্রার্থীর কেউ জামানত হারাননি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.শহীদুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, তফসিল অনুযায়ী গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে উপজেলার আট ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। একটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ইউপিগুলোতে ৪৭ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের পাঁচ হাজার টাকা জমা দিতে হয় সরকারি কোষাগারে। যেসব প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন তাঁরা আর সেই টাকা ফেরত নিতে পাবেন না।