গোলাগুলিতেই চকরিয়ায় নির্বাচন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১২

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের জের ধরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগ নেতাসহ ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের জনতা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোছাইনকে (২৪) চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: জিতল নৌকার মাঝি—আলমগীরই চকরিয়ার মেয়র

হামলার ঘটনার জের ধরে আবারও রাত সাড়ে ১১ টায় দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আহত ছাত্রলীগ নেতা সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের পক্ষে কাজ করেছিলেন। আহত সাজ্জাদের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার জন্য বিজিত কাউন্সিলর রেজাউল করিমের সমর্থকদের দায়ী করেছেন।

এ ব্যাপারে বিজিত কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, আহত সাজ্জাদ নির্বাচনের পর থেকে আমার সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দিয়ে আসছিল। বুধবার রাতে হুমকি দিলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় আমার ১০ জন সমর্থক আহত হয়। হামলায় কাউন্সিলর সাইফুল নেতৃত্ব দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ পৌরসভা নির্বাচনে আমার পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। এজন্য সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম পরিকল্পিতভাবে সাজ্জাদসহ আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ‘বাসেই জন্ম নিল সন্তান’—নারায়ণগঞ্জ থেকে চকরিয়া যাচ্ছিলেন স্বামী-স্ত্রী

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত)) মো. জুয়েল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, হামলায় দুপক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

ওসি আরও বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে শামসুল আলম বাদী হয়ে রেজাউল করিমসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১২-১৩ জনকে অজ্ঞাত করে একটি এজাহার থানায় জমা দিয়েছেন। এটি তদন্ত করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুকুল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!