চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচন : শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে।

আগামী রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ‘ভোটযুদ্ধ’। তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত দিন পার করছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার (সাধারণ সদস্য) প্রার্থীরা।

নির্বাচনি প্রচারণার শেষসময়ে এলাকা যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদার করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত-উদ-জ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতও রয়েছে মাঠে।

যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্কে সরগরম রয়েছে এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার ও চায়ের দোকান।

আরও পড়ুন : চকরিয়ায় এক ইউনিয়ন ছাড়া লড়াই হবে সবখানে—কঠোর বার্তা প্রশাসনের

উপজেলার একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও বাকি ৭টিতে চলবে ভোটের লড়াই। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়ছেন। প্রচারণায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও সরকারদলীয় প্রার্থীরা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি এলাকায় বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনদের ভয়-ভীতি দেখানোর খবর পাওয়া গেছে।

তবে কয়েকটি ইউনিয়নে সরকারি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পরোক্ষভাবে সমর্থন করছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার হারবাং, বরইতলী, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ফাঁসিয়াখালী ও চিরিংগা ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।

ইতোমধ্যে সুরাজপুর-মানকিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিমুল হক আজিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এ ইউনিয়নে শুধু মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচন হবে।

অন্য ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৭ জন, মেম্বার পদে ৩৫৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

৮ ইউনিয়নে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৮ ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৮ হাজার ৮৬৩ জন এবং নারী ভোটার ৬২ হাজার ৭৮৫ জন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনি প্রচারণার সময় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি। প্রচারণার শেষ মুহূর্তে যাতে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!