চকরিয়ায় আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা—সংঘর্ষের শঙ্কা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। আচরণবিধি না মেনে আওয়ামী লীগসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দিন-রাত সভা-সমাবেশ ও মিছিল করছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানকার ১০টি ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচার-প্রচারণা চালানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই সভা-সমাবেশ ও মিছিল করছেন আওয়ামী লীগসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার কোণাখালী, বদরখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, পূর্ব বড় ভেওলা, ভেওলা মানিকচর (বিএমচর), সাহারবিল, কাকারা, লক্ষ্যারচর ও কৈয়ারবিলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সাধারণ সদস্য প্রার্থীরাও সমানতালে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন : চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের পথের কাঁটা স্বতন্ত্র প্রার্থী, মাঠে আছে জাপা—ইসলামী আন্দোলনও

স্থানীয়রা জানান, প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকে প্রার্থীরা যেভাবে শোডাউন করছেন তা নজিরবিহীন। প্রার্থীরা কোনো ধরনের নির্বাচনি আচরণবিধি মানছেন না। ফলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সব প্রার্থীর নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলা উচিত।

আরো বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কাছে নির্বাচনি আইনভঙ্গ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা কোনো ধরনের নির্বাচনি আইনভঙ্গ করছি না। কর্মী-সমর্থকরা উল্লাসিত হয়ে সমাবেশ করছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও আচরণবিধি অমান্য করছেন।

চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, আমার দলের কোনো প্রার্থী নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থীরা যেভাবে নির্বাচনি আইন অমান্য করে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে। নির্বাচনে সবাই যাতে সমান সুযোগ পায় সেজন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার-প্রচারণা চালানোর কোনো নিয়ম নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

মুকুল/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!