চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুষে মিলবে ‘নিয়োগ’, শিক্ষক পদে ১৬ লাখ—মালি ৮ লাখ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগে প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের ৫ ফোনালাপ ফাঁসে তোলপাড় চলছে। স্বয়ং উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর ঘুষ দাবির ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ অবস্থায় উপাচার্যের সহকারীকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ নিয়ে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হয় এসব ফোনালাপে। একটি ফোনালাপে বলতে শোনা যায়, উপাচার্য না চাইলে যদি প্রধানমন্ত্রীও সুপারিশ করেন তবুও তার নিয়োগ হবে না। সে ফোনালাপে শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে আবেদনকারীর কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

আরও পড়ুন: ঘুষ চেয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন এসিল্যান্ড মাসুমা

আরেক ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক নিয়োগপ্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সহকারীকে অর্থ লেনদেনের প্রস্তাব দিতে শােনা যায়। অপর ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলাের শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়ােজন বলে উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী।

এসব ফোনালাপে উপাচার্যের ভাতিজা শাওন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইলিয়াস সিদ্দিকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার কর্মচারী আহমদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। যদিও এ ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলছেন চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আক্তার চৌধুরী।

ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাঠকের সুবিধার্থে ফোনালাপগুলোর কথোপকোথন হুবহু তুলে ধরা হলো।

প্রথম ফোনালাপ

উপাচার্যের সহকারী খালেদ মিসবাহুল মোকর রবীন ও নিয়োগপ্রার্থীর-

খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন: ম্যাডামের (উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার) সঙ্গে দেখা হলে তোমার কথা বলবো। ম্যাডাম যেভাবে বলে সেভাবে হবে।

নিয়োগপ্রার্থী: ঠিক আছে, আপনি একটু দয়া করে আমার বিষয়টা দেখবেন আরকি।

খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন: ঠিক আছে ইনশাআল্লাহ। চট্টগ্রামের দেখেই তো আমি টান দিলাম (তোমাকে)। কিন্তু প্রেক্ষাপট বা বাস্তবতা হলো এগুলোই হচ্ছে সব জায়গায়। আমি তোমার ভাবীর (খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনের স্ত্রী) জন্যও চেষ্টা করেছি। কিন্তু গতবার আমি শুধু এটা (টাকা) দেইনি বলেই হয় নাই (চাকরি)। আমি এখানেই আছি, অথচ আমার স্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে। বর্তমানে সে (আমার স্ত্রী) সার্দান ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে চুক্তি করি নাই বলেই হয়নি এটা। অন্যথায় এতদিনে হয়ে যেত। সোজা কথা এটাই।

নিয়োগপ্রার্থী: আপনি যে কারণে ভিকটিম হয়েছিলেন। আপনি যেহেতু এখন ম্যাডামের সঙ্গে আছেন, অন্য কেউ যেন এমন ভিকটিম না হয়, আমি আপনার কাছে এটা আশা করবো আরকি।

খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন: আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। তবে বাস্তবতা যেটা, সেটা আমি তোমাকে ইঙ্গিত করলাম।

নিয়োগপ্রার্থী: বুঝতে পেরেছি। আপনি যদি ম্যাডামের (উপাচার্য) সঙ্গে আমার সাক্ষাতের বিষয়টা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আমি বিষয়টা দেখবো ইনশাআল্লাহ।

খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন: ঠিক আছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ পদে লোক নেবে

দ্বিতীয় ফোনালাপ

চবি কর্মচারী: আপনি কি এখানে (চবিতে) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন?

নিয়োগপ্রার্থী: আমি আবেদন করেছি।

কর্মচারী: কোনো লবিং করেছেন কি?

নিয়োগপ্রার্থী: আপনি কে বলছেন, আপনার পরিচয়টা দিলে সুবিধা হয়।

কর্মচারী: আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টস থেকে বলছি। ১৪ তারিখ (১৪ নভেম্বর, ২০২১) আপনাদের (ইন্টারভিউ) মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পড়েছে। এখানে আপনার নাম দেখে ফোন করেছি, লবিং করছেন কিনা, সেটা জানার জন্য।

নিয়োগপ্রার্থী: লবিং বলতে আমাদের চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে একটা ডিও (ডেমি অফিসিয়াল) লেটার নিয়েছিলাম। যাই হোক আপনার নাম কি? বাড়ি কোথায় আপনার?

কর্মচারী: আমার নাম আহমদ হোসেন। বাড়ি এখানেই, হাটহাজারী।

নিয়োগপ্রার্থী: এখন কীভাবে কী করা যায়, আমাকে পরামর্শ দিন।

কর্মচারী: এখন তো আসলে লবিং ছাড়া কিছুই হবে না, এটা সবাই জানে।

নিয়োগপ্রার্থী: আমি আরবি বিভাগের এক ভাই এবং আমাদের চবির এক স্যারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। উনারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। এখন বাস্তবতা কী, সেটা তো জানি না।

কর্মচারী: ঠিক আছে, এখানে চট্টগ্রামের দুজন আছে ক্যান্ডিডেট, এরমধ্যে আপনি একজন। যাই হোক, যদি প্রয়োজন মনে করেন অ্যাডভান্স দিতে পারবেন, ফোন দিবেন আরকি। আর যেহেতু আপনার পরিচিত মানুষ আছে, দেখেন কী করা যায়।

তৃতীয় ফোনালাপ

নিয়োগপ্রার্থী: আমাকে পদ্ধতিটা শিখিয়ে দিন, কার মাধ্যমে কী করতে হবে?

কর্মচারী: একটা জিনিস আপনিও বুঝেন, আমিও বুঝি, সবাই বুঝে। বর্তমান পরিস্থিতিতে লেনদেন ছাড়া কোনো কিছুই হয় না। এজন্য মন্ত্রীর সুপারিশ বলেন বা যার সুপারিশই বলেন, কোনো কিছুই কার্যকর হবে না। কারণ সব জায়গায় টাকা লাগে। এখন কথা হলো আপনাকে যদি ম্যাডামের (উপাচার্য) সঙ্গে বসিয়ে দিই, আর ম্যাডাম যদি রাজি হন- তাহলে আপনাকে অর্ধেক পেমেন্ট (টাকা) আগে দিয়ে ফেলতে হবে। আর বাকি অর্ধেক আপনি অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার পাওয়ার পর দিবেন।

নিয়োগপ্রার্থী: কাকে দিতে হবে পেমেন্ট? ম্যাডাম কে?

কর্মচারী: ম্যাডামকে না, ম্যাডাম কি সরাসরি (টাকা) নিবে নাকি? তাছাড়া ম্যাডাম আবার মন্ত্রণালয়ে লাইনঘাট সব ম্যানেজ করবেন। যাই হোক, এটা আমি জানি বলেই আপনাকে জানালাম। এখন আপনার যদি সম্মতি থাকে তাহলে আমি আলাপ করে দেখতে পারি। ম্যাডাম যদি রাজি হন, তাহলে আপনি অর্ধেক পেমেন্ট করবেন এবং পেমেন্ট যে করছেন সেটার একটা চেক অথবা ডকুমেন্ট দিতে হবে। কিন্তু ম্যাডাম যদি ‘না’ বলেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীও যদি ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ করেন কোনো কাজ হবে না। এটাই শেষ কথা। কারণ ম্যাডাম নিজেও তো আসছেন অনেক টাকা খরচ করে। তবে এ সমস্ত কথা কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। তাহলে আপনারও বিপদ, আমারও বিপদ। এখন আপনার যদি সম্মতি থাকে এবং ম্যাডাম যদি রাজি হন, তাহলে একটা কন্ট্রাক্ট (চুক্তি) করা যায়।

নিয়োগপ্রার্থী: বুঝতে পারলাম, অ্যামাউন্ট কত? (টাকার পরিমাণ)

কর্মচারী: অ্যামাউন্ট হলো ১৬ (লাখ)।

নিয়োগপ্রার্থী: তাহলে তো কঠিন অবস্থা।

কর্মচারী: তৃতীয় শ্রেণির একটা চাকরির জন্য এখন ১০-১২ লাখ টাকা লাগে। চতুর্থ শ্রেণির- যেমন মালি, প্রহরীর এসব চাকরির জন্য লাগে ৮ লাখ টাকা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলো সর্বোচ্চ সম্মানী পদ। কাজেই এখানে ১৬ লাখের কম দিলে হবে না।

নিয়োগপ্রার্থী: কার মারফতে (মাধ্যমে) দিতে হবে টাকা?

কর্মচারী: সেটা পরে জানাবো। আগে আপনার যদি সম্মতি থাকে, তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যেভাবেই হোক আমি সেটা নেওয়ার ব্যবস্থা করবো।

নিয়োগপ্রার্থী: ঠিক আছে।

কর্মচারী: যেহেতু চট্টগ্রামের বাইরের মানুষ বেশি (নিয়োগপ্রার্থীদের মধ্যে)। চট্টগ্রামের মধ্যে আছেন আপনারা দুজন। আর আমিও চাই যে চট্টগ্রামের একজনের হোক। চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে চট্টগ্রামের যারা তাদের পক্ষে থাকাটাই তো স্বাভাবিক। এজন্য চট্টগ্রামের দুজনকেই বলছি আমি এ বিষয়ে।

নিয়োগপ্রার্থী: চট্টগ্রামের মধ্যে তো ৪-৫ জন আবেদন করছে। রেজাল্ট ভালো দুজনের আরকি।

কর্মচারী: ওরকম হলে তো আমরা জানতাম। শুধু আবেদন করলেই তো হবে না। রেজাল্ট ওতো ভালো হতে হবে।

নিয়োগপ্রার্থী: ঠিক আছে। আমি দেখি, যদিও আমার জন্য এ টাকা ম্যানেজ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। আমি গরীবের ছেলে। পড়াশোনা করেছি কষ্ট করে।

কর্মচারী: যাই হোক চিন্তাভাবনা করে জানাবেন। আর রেজাল্টও লাগবে। যার কারণে দুইটাই (রেজাল্ট এবং টাকা) প্রয়োজন। এখন এটা আপনার সম্মতির ওপর। এটা চাইলে বাইরের কাউকেও বলতে পারতাম।

নিয়োগপ্রার্থী: জ্বি, পারলে দিবো, না পারলে সাধারণভাবে গিয়ে পরীক্ষা দিবো আরকি। যদিও এত টাকা সংগ্রহ করা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।

কর্মচারী: ঠিক আছে আপনি চিন্তাভাবনা করে দেখেন।

আরও পড়ুন: গৌরবের ৫৬ বছর—চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রঙের মেলা

চতুর্থ ফোনালাপ

ঢাবি ও চবির ফারসি বিভাগের দুই ছাত্রের কথোপকথন

চবি ছাত্র: আব্দুল করিম (ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি) স্যারের রুমে ঢোকার আগে ওয়াক্কাসকে (আরও এক নিয়োগপ্রার্থী) বলে দিয়েছি যে- তোমাকে ভাইভাতে কি কি জিজ্ঞেস করেছে এটা বলবে না এবং ভিসি ম্যাডাম কি কি বলেছে, সেটাও বলবে না। কারণ সে পলিটিক্স বোঝেনা।

এছাড়া আমি আপনাকে ভাইবার সময় নিচে (প্রশাসনিক ভাবনের) জানিয়েছিলাম না, যে কথাবার্তা বলছেন কি না? এটা কেন বলছি জানেন?

ঢাবি ছাত্র: কেন বলছেন?

চবি ছাত্র: কারণ ভিসি ম্যাডামের ভাতিজা (আফজার কামাল চৌধুরী শাওন) মান্নান ভাইকে (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক বিভাগের ল্যাব সহকারী) বলছে- ‘চট্টগ্রামের যে ছেলেগুলো আছে, তারা লবিং করেছে কিনা উনি জানেন না।’

মান্নান ভাইয়ের সঙ্গে আমার ২০ বছরের সম্পর্ক। উনি আমাকে বলেছেন- ‘চট্টগ্রামের কেউ আছে কি না? থাকলে ম্যানেজ করে দিতে পারতাম। ’

তো আমি বলছি, চট্টগ্রামের একজন আছে আমাদের। আমি যোগাযোগ করে দেখি। সেজন্য আপনি কতটুকু লবিং করতে পারছেন বা পারেন নাই। সেটা তো আমি জানি না। ওই নিউজটা আপনাকে দিলাম।

ঢাবি ছাত্র: জ্বি, বুঝতে পেরেছি।

পঞ্চম ফোনালাপ

চবি ছাত্র: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিদ্দিকী ওয়াক্কাসকে (মুহাম্মদ ওয়াক্কাস- ভাইবা বোর্ডের সুপারিশ পাওয়া নিয়োগপ্রার্থীদের একজন) ফোন দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ওয়াক্কাস আমাকে কল দিয়ে বিষয়টি জানায়। আমি বললাম ‘সিদ্দিকী স্যার তো আমাদের কাছের মানুষ, কী বলেছে স্যার? সে বললো- স্যার একটা মোবাইল নম্বর দিয়েছে তাকে। নম্বরটা ওর কাছ থেকে নিয়ে দেখলাম যে এটা রবীন স্যারের (ডেপুটি রেজিস্ট্রার খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন) নম্বর। পরে আমি ওয়াক্কাসকে রবীন স্যারের কাছে তাড়াতাড়ি যেতে বললাম। তাছাড়া রবিন স্যার ভিসি ম্যামের কাছের মানুষ।

ঢাবি ছাত্র: আচ্ছা, তারপর?

চবি ছাত্র: ওয়াক্কাসকে আমি আগেই বলেছি, এখানে টাকা পয়সার যেহেতু একটা বিষয় আছে, টাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তুই যতটুকু দিতে পারবি, সেটা বলবি। রবীন স্যার কনফার্ম করে দিবে। পরে রবীন স্যার ওয়াক্কাসকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বলেছে। আমি বিষয়টা ডিপার্টমেন্টের কোনো শিক্ষককেও বলতে নিষেধ করেছি। আপনিও এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।

ঢাবি ছাত্র: এখন ওয়াক্কাস কি ৫ লাখ টাকা দিতে পারবে?

জসিম উদ্দিন: না, ও বোধহয় ৫ লাখ দিতে পারবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড শিরীন আখতার বলেন, এটা একটা চক্রান্ত। আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি৷ আমরা ওই লোককে (আহমেদ হোসেন) জেলে দিয়েছি। রবিন  (পিএস) তো নিজেই চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা খুব স্বচ্ছভাবে নিয়েছি। কিন্তু যারা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছে তারা এসব করেছে। আমরা শক্ত হাতে এসব দমন করছি।

উপাচার্য বলেন, আমরা এটা রেফার ব্যাক করবো। কোন অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দিবো না।

ফোনালাপের বিষয়ে জানতে কর্মচারী আহমদ হোসন, চাকরীপ্রার্থী ওয়াক্কাসকে কল দিলেও তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। আর পিএস রবিন কল রিসিভ করেননি।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm