রেলে চাকরি—’ঘুষ নিয়ে’ ঘুরাচ্ছিলেন প্রতিবন্ধীকে, সাংবাদিকের ওপর হামলা আনসার সদস্যের

এক প্রতিবন্ধীকে রেলওয়েতে চাকরি ও কোয়াটার পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ নিয়ে দীর্ঘ আড়াই বছর ঘুরাচ্ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে খালাসি পদে কর্মরত মনিরুল ইসলাম বাবু। এ বিষয়ে নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে মনিরুল ও দুই আনসার সদস্য সাংবাদিকের ওপর হামলা চালান। তাঁর মুঠোফোন ভাংচুর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নগরের ঝাউতলা এলাকায় বসবাস করেন প্রতিবন্ধী সুমি ও বানু। এই দুই প্রতিবন্ধীকে চাকরি ও কোয়াটার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রেলের খালাসি পদে কর্মরত মনিরুল ইসলাম বাবু। এ প্রতিশ্রুতিতে তিনি সুমির বাবা ও বানুর ভাই মো. মামুনের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকাও নেন। কিন্তু দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে তাদের নানা বাহানায় ঘুরাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন: অর্ধকোটি নাকি দেড় কোটি—রেলের কত টাকার বেতন জালিয়াতি করেছেন ফয়সাল?  

এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে মোহনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সুমন দে সিসিএম অফিসে নিউজ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় মনিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে দুই আনসার সদস্য জুলফিকার ও রবিউল যোগ দিয়ে সুমনকে নাজেহাল করেন। এমনকি তাঁর মোবাইলও ভেঙে দেন। বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাৎক্ষণিক দুই আনসার সদস্যকে অন্যত্র বদলি করা হয়।

ভুক্তভোগী মো. মামুন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মনিরুল ইসলাম বাবু আমার মেয়ে ও বোনকে চাকরি এবং কোয়াটার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আড়াই লাখ টাকা নেন। আমি টাকা চাইতে গেলে বাবু আমার সঙ্গে থাকা সাংবাদিককে ধাক্কা দেন। টাকা না দিয়ে তিনি গণ্ডগোল শুরু করে দেন।

আরও পড়ুন: গলায় কাঁটা—‘আইবাসে’ থমকে গেছে সহস্র রেলকর্মীর ঈদানন্দ

সুমন দে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চাকরি ও কোয়াটার পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতিবন্ধীর টাকা আত্মসাতের ঘটনা শুনে আমি নিউজ সংগ্রহে যাই। এ সময় মনিরুল ইসলাম এবং আনসার সদস্য জুলফিকার ও রবিউল আমার উপর হামলা করেন। তাঁরা আমার মোবাইল ভাংচুর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

সিএম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!