ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশি—করণীয় জানালেন বিশেষজ্ঞরা

চট্টগ্রামে হঠাৎ বেড়েছে জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপ। ঘরে ঘরে এখন জ্বর-সর্দি-কাশির রোগী। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আক্রান্ত শিশুদের জ্বর ঠেকছে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণের মধ্যে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপে উদ্বেগ বাড়ছে জনমনে।

তবে মৌসুম পরিবর্তনের কারণে এমন হচ্ছে জানিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, এখন কেউ কেউ করোনা কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সিজনাল ফ্লু দুই-তিনদিনের বেশি থাকে না। তাই জ্বর হওয়ার পর ওইসময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। যদি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার তিনদিনের মধ্যে সেরে না যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী সেবা নিতে হবে।

আরও পড়ুন : করোনা—‘ইমিউনিটি বুস্টার’ আবিষ্কারের দাবি বাংলাদেশি গবেষকের  

যোগাযোগ করা হলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. জসিম উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রকোপ বেড়েছে। এটি প্রতিবছর আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় হয়ে থাকে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত চিকিৎসা নিলে তিন-চারদিনের মধ্যে সেরে উঠে। এর মধ্যে না সারলে করোনা ও ডেঙ্গু দুটো টেস্টই করাতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীর চাপ। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। একই চিত্র নগরের অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালেও।

নগরের পাঁচলাইশ পার্কভিউ হাসপাতালে ৩০ শিশু বেডের ২৭টিতে সিজনাল ফ্লুতে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এর মধ্যে এনআইসিওতে আছে ৬ জন। ডেলটা হাসপাতালে ১৮ শিশু বেডের ১০টিতে রয়েছে একই রোগী। প্রতিদিন সব হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেজবাহুল হক চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে শিশুদের জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। কারো কারো শরীরে জ্বরের মাত্রা ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি। সর্দি কিংবা তীব্র কাশি ছাড়া শুধ জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে তিন-চারদিন বাসায়ও চিকিৎসা নেওয়া যায়। এরপরও না কমলে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় সঠিক রোগ নিরুপণ করতে হবে।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!