চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হবে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে সকল আসামির পূর্বের মামলা নেই এবং গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত নয় তাদের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটদের দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডারস অ্যাক্ট ১৯৬০ এর বিধান অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল বিভাগকে একযোগে নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘কারখানার অক্সিজেন’ যাচ্ছে রোগীর শরীরে—ম্যাজিস্ট্রেট চালালেন অভিযান
নারীর অধিকার, কারাবন্দিদের অধিকার সর্বোপরি মানবাধিকার সমুন্নত রেখে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিতকরণ ও আইনের শাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল বিভাগের পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল আলম চৌধুরী, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিন, হোসেন মোহাম্মদ রেজা এবং সারোয়ার জাহান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. এনামুল হক ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফখদ্দিন চৌধুরী।
কনফারেন্সে পুলিশ কর্তৃপক্ষের পক্ষে পুলিশ কমিশনার, সিএমপি’র প্রতিনিধি, বিশেষ পুলিশ সুপার, পিবিআই, এডিসি ট্রাফিক (বন্দর), বিশেষ পুলিশ সুপার, সিআইডির প্রতিনিধি এবং এডিসি প্রসিকিউশন, মহানগরের সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সিনিয়র জেল সুপার, চমেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানের প্রতিনিধি, সহকারী পরিচালক (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর), প্রবেশন অফিসার এবং আদালতের জিআরও বেঞ্চ সহকারীসহ আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সে আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনে ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
এসি/আরবি