বিদ্যুতের পর এবার বাড়ানো হলো গ্যাসের দামও। শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বাসাবাড়ি, সিএনজিচালিত যানবাহন ও চা শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের উপসচিব শেখ মো. বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিটের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) জন্য ইউনিটপ্রতি দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৬ টাকা (ইউনিট প্রতি) অপরিবর্তিত থাকছে।
মাঝারি শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। তবে চা-বাগানের ক্ষেত্রে দাম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা অপরিবর্তিত আছে।
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খাতে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহকেরা ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি ইউনিটের দাম দেবেন ৩০ টাকা ৫০ পয়সা করে। আগে যা ছিল ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা।
এর আগে গত বছরের জুনে গ্যাসের মূল্য ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ওই সময় সার উৎপাদনে ২৫৯ শতাংশ, শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ (বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৮ টাকা, মাঝারি শিল্পে ১১ দশমিক ৭৮ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ১০ দশমিক ৭৮ টাকা, চা শিল্পে ১১ দশমিক ৯৩ টাকা), বিদ্যুতে ১২ শতাংশ এবং ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়।
এছাড়া আবাসিকে একচুলার দাম ৯৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের ইউনিটপ্রতি দর ১২ দশমিক ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ঘনমিটার ৪ দশমিক ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়।
নওশীন/আরবি
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।