‘র‍্যাবের দিকেই আঙুল’—’গ্যাং লিডার’ টিনুর কাছে অস্ত্র ছিল না, বললেন স্ত্রী

কিশোর গ্যাং লিডার ও চকবাজারের ত্রাস নূর মোস্তফা টিনু দুই বছর আগে অস্ত্রসহ র‍্যাবের হাতে আটকের পর থেকে এখনো জেলে রয়েছেন। চট্টগ্রামের দুই ঐতিহ্যবাহী কলেজ— সরকারি চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে মারামারি, ভাংচুর, অস্ত্রবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগসহ একাধিক মামলার আসামি বিতর্কিত এই টিনু।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬নং চকবাজার উপনির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন টিনু। যদিও জেতার পরও জামানত হারিয়েছেন তিনিসহ সব প্রার্থী।

আরও পড়ুন: জামানত হারিয়েও গ্যাং লিডার থেকে কাউন্সিলর টিনু—টিআইবির ‘সংশয়’, ইভিএম নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

অভিযোগ রয়েছে, পুরো চকবাজার টিনুর নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর হাতে জিম্মি। এমন একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়াকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন খোদ জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে টিনুর স্ত্রী শাহনাজ আক্তার জ্যোতি দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী যড়যন্ত্রের শিকার! জ্যোতি বলেন, টিনুর কাছে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি, বাসাতেও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাকে ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: চকবাজারের ‘অস্ত্রবাজ’ টিটুর হঠাৎ ‘সন্ত্রাসী’ টিনু হওয়ার গল্প

জ্যোতি বলেন, ‘আমার স্বামীকে কেউ সন্ত্রাসী বলেন, কেউ বলেন কিশোর গ্যাং লিডার। আসলে তিনি যড়যন্ত্রের শিকার। তিনি যদি কিশোর গ্যাং লিডার হতেন তাহলে কাউন্সিলর হতে পারতেন না। তাকে মানুষ ভালোবাসে বলেই ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন।’

কিশোর গ্যাং লিডার ও সন্ত্রাসী তকমা মুছে জনগণের সেবায় টিনু মনোনিবেশ করবেন বলে আশাবাদী জ্যোতি।

আরও পড়ুন: কারাবন্দী কিশোর গ্যাং লিডার টিনু কাউন্সিলর—ইসির শঙ্কাপ্রকাশ 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে র‍্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্ণেল এমএ ইউসুফ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। বিষয়টি আদালতের উপর নির্ভর। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকে তার নিজস্ব মতামত দিতে পারেন। আমরা সবার মতামতের বিষয়ে কথা বলতে পারি না।

সিএম/এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!