গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বেড়েছে শীত, সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

সকাল থেকেই আকাশজুড়ে মেঘের ঘনঘটা। ঘোর বর্ষার মতো কোথায় যেন লুকিয়ে আছে সূয্যি মামা। চারদিকে শুধু হিমেল হাওয়া। এই হিমেল হাওয়ার মাঝেই এল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

মেঘ আর কুয়াশায় মাঝে হঠাৎবৃষ্টি চট্টগ্রাম নগরে বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টি থামলেও বইছে গা হিম করা ঠাণ্ডা বাতাস। ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে বেড়েছে শীত।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে হঠাৎ বৃষ্টি—পানিতে ডুবল চট্টগ্রাম

শীতের ভয়ে যখন নগরের মানুষ ভীত তখন সুখবর শুনিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তারা বলছে, শীত বাড়লেও শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।

বৃষ্টি

এদিকে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ও সন্ধ্যার দিকে আসা হঠাৎ বৃষ্টি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটাও ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে। হঠাৎ বৃষ্টির দুর্ভোগে পড়তে হয় কর্মজীবী মানুষদের। অসময়ের বৃষ্টিতে কারো হাতেই ছিল না ছাতা। তাই অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে ছুটতে হয়েছে গন্তব্যে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। ফলে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হতে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আজ চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত আধঘণ্টায় শূন্য দশমিক এক মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: খাল যেন খোলা মাঠ, বৃষ্টি হলেই জলজট

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে আসা মেঘের দল আকাশে জড়ো হয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি আকারে ঝরে পড়ছে। বৃষ্টি থামলেও উত্তরের হিমালয় পর্বতমালা ও তিব্বতের বাতাস যোগ হওয়ার কারণে ঠাণ্ডা আগের চেয়ে বেশি অনুভূতি হচ্ছে। তবে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই।

আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকবে না— এমনই সুখবর শুনিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!