আনোয়ারায় চাঞ্চল্যকর সাজ্জাদ (২২) খুনের রহস্যের জট খুলেছে। খুনে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তারের পর খুলে যায় রহস্যের জট।
এ ঘটনায় শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ৯টায় সংবাদ সম্মেলন করে আনোয়ারা থানা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি সোহানুর রহমান সোহাগ জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বটতলী থেকে ভাড়ার কথা বলে অটোরিকশা চালক সাজ্জাদকে বরুমচড়া ইউনিয়নের কানু মাঝির ঘাট এলাকায় নিয়ে যায় আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য সাইফুল। যেখানে আগে থেকে রমজান আলী প্রকাশ আক্কর, মো. হারুন, সাইফুল, সুমন ও আশরাফ ওঁৎ পেতে ছিল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত পৌনে ৮টার দিকে কানু মাঝির ঘাট বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নুরুল হকের ফিসারি খামারের পাশে এসে অটোরিকশাটি থামায় তারা। এরপর আসামিরা সাজ্জাদের মুখ চেপে প্রজেক্টের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে গামছা দিয়ে সাজ্জাদের মুখ বেঁধে জবাই করে খামারের কিনারায় পানিতে ফেলে দেয়।
এ ঘটনার দুদিন পর ১৬ অক্টোবর দুপুরে সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন— বরুমচড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রমজান আলী প্রকাশ আক্কর এবং ৮নং ওয়ার্ডের মো. হারুন। এর আগে অন্য ঘটনায় আটক হয়ে জেলহাজতে যায় সাইফুল।
যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এ ঘটনার প্রধান আসামি সাইফুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার ২ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কেএস/আলোকিত চট্টগ্রাম

