অপহরণ না আত্মগোপন—২৪ দিনেও খোঁজ মেলেনি ছাত্রীর

আনোয়ারায় ২৪ দিনেও খোঁজ মেলেনি মাদ্রাসাছাত্রী মোছাম্মৎ মুন্নী আকতারের (১৫)। স্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে ২৩ আগস্ট ঘর থেকে বের হন মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মুন্নী। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মুন্নী উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ে। তার পরিবারের দাবি, পাশের এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মু. ওসমান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। অপরহরণের বিষয়টি ওসমানের বাবা স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেন মুন্নীর বাবা মু. সেলিম উদ্দিন।

এ ঘটনায় আনোয়ারা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে মুন্নীর পরিবার। তবে পুলিশের তথ্যমতে, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে তারা আত্মগোপনে চলে গেছে।

আরও পড়ুন‘লজ্জা—ক্ষোভে’ মৃত্যুর পথে গেল প্রবর্তক সংঘের হোস্টেলে থাকা ছাত্রী

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া আলিম মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুন্নী। সকালে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে আর বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে বের হন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ঘটনার পরদিন আনোয়ারা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মুন্নীর বাবা। নিখোঁজের ২৪ দিন পার হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি মুন্নীর।

মু. সেলিম উদ্দিন বলেন, করোনাকালে স্কুল বন্ধ ছিল। ঘরে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিল মুন্নী। সকালে মাদ্রাসায় অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে আর বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করি। পরে জানতে পারি স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের ছেলে ওসমান আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে। ওসমানের বাবা একথা স্বীকারও করেছেন আমাদের কাছে। কিন্তু পুলিশ এখনো আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি।

আরও পড়ুনছাত্র নিখোঁজের ২৮ দিন পর থানাকে জানাল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ

মুন্নীর মা দিলুয়ারা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ওসমান বিভিন্ন সময় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বিরক্ত করত। ওসমানের বাবা অপহরণের কথা স্বীকার করলেও এখনো পর্যন্ত মেয়েকে ফিরে পাইনি।

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আনোয়ারা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মউশি মারমা বলেন, শিক্ষার্থী মুন্নীকে উদ্ধারে পুলিশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তারা দুজন আত্মগোপন করে আছে।

ইমরান/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!