বিআরটিসি বাসে টেন্ডারবাজি—খুন করে পালিয়ে গিয়েছিল রাজধানীতে

হাটহাজারীতে বিআরটিসি বাসের টেন্ডারের বিরোধে ছুরিকাঘাতে নিহত রুবেল হত্যা মামলা প্রধান আসামি মো. শাহাদৎ হোসেন ওরফে রোকনকে (৩০) আটক করেছে র‌্যাব-৭।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানার ডগাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।

আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে রাতের আঁধারে ছুরি মেরে খুন করা হলো ছাত্রলীগ নেতাকে

আটক মো. শাহাদৎ হোসেন ওরফে রোকন হাটহাজারী থানার চিকনদন্ডী এলাকার মো. সফির ছেলে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী থানার নতুনপাড়া মোবারক রোডের রায়হান সিএনজি পেট্রোল পাম্পের সামনে বিআরটিসি বাসের টেন্ডার বিরোধের জের ধরে দিদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়া। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মো. আব্দুল হালিম রুবেলকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের মা ৮ জনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। পরে মামলার সূত্র ধরে আসামিদের ধরতে ছায়াতদন্ত শুরু করে র‌্যাব। একপর্যায়ে আসামি রোকন ঢাকার ডেমরা থানার ডগাইর এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের কথা মাকে জানিয়ে দেবে বলায় খুন করা হয় স্কুলছাত্রীকে

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রুবেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. শাহাদৎ হোসেন ওরফে রোকনকে ঢাকার ডেমরা থানার ডগাইর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। আটক রুবেল হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর প্রথমে ঢাকার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। সেখানে থেকে পোশাক কারখানায় কাজ নেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে ডেমরা থানার ডগাইর এলাকার একটি বেকারিতে চাকরি করে। সর্বশেষ গোপন সংবাদে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আটক যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!