ধর্ষণের কথা মাকে জানিয়ে দেবে বলায় খুন করা হয় স্কুলছাত্রীকে

নগরের হালিশহরে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ধর্ষক আলমগীর মিয়াকে আটক করেছে র‌্যাব-৭।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে রাজবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

বুধবার (১৬ মার্চ) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।

আরও পড়ুন: দলবল নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাগানেই খুন করা হলো যুবককে

আটক আলমগীর মিয়া (৪৯) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার সাতগ্রাম এলাকার মো. রফিক মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, নিহত ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে হালিশহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকত। প্রতিদিনের মতো সকালে পরিবারের সবাই চাকরিতে চলে যায়। ভিকটিমও কোচিংয়ে যায়। কোচিং থেকে বাসায় আসার পর অভিযুক্ত আলমগীর ভিকটিমকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় ভিকটিম ধর্ষককে আঙ্গুলে কামড় দেয়। পরে এ ঘটনা তার মাকে বলবে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এরপর নিহতের লাশ খাটের নিচে রেখে চলে যায় ধর্ষক। ঘটনার দিন রাতেই স্ত্রীকে নিয়ে সাভার, মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ি এলাকায় অবস্থান করেন আলমগীর।

ভিকটিমের বাবা পেশায় রিকশাচালক। মা পেশায় গার্মেন্টসকর্মী। তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে ভিকটিম সবার ছোট। ভিকটিমের এক ভাই ডেকোরেটরের দোকানে এবং আরেক ভাই ফার্নিচার দোকানে চাকরি করেন।

আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে খুন করে প্রেমিকের আত্মহনন—একসঙ্গে ২ মামলা

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো.নূরুল আবছার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, হালিশহরে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ধর্ষক আলমগীরকে রাজবাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আটক আলমগীর প্রথমে সাভারে অবস্থান করেন। তারপর মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়িতে অবস্থান করেন। গোপন সংবাদে রাজবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!