খাল ও ভাগাড়ের ময়লা রাস্তায়—বাড়ছে দুর্ভোগ
সড়কের পাশের খাল থেকে তোলা ও ভাগাড়ের ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় পড়ে আছে গত একসপ্তাহ ধরে। এক পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় রাস্তা খুব সরু হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে লোকজন চলাচল করছেন নাক চেপে।
এ রকম দৃশ্যের দেখা মিলছে নগরের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কেবি আমান আলী রোডের খালপাড় এলাকার রাস্তায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তা দিয়ে এখন নাক চেপে হাঁটতে হয়। ময়লায় রাস্তার অর্ধেক দখল হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। আবার যানবাহন ধীরে চলায় বেশি সময় ধরে দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের।
রাস্তার পাশে থাকা ভাগাড়ে সিটি করপোরেশনের ময়লার সাথে তুলে রাখা খালের আবর্জনা জমে রাস্তার অর্ধেক অংশ দখল করে ফেলেছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নগরবাসী।
রোববার (১৩ জুন) পশ্চিম বাকলিয়ার খাল পাড় এলাকা সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে গড়ে তোলা ভাগাড়ে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা ফেলছেন। আবর্জনাগুলো জমা হতে হতে রাস্তায় এসে পড়ছে। এতে মূল রাস্তা অর্ধেক হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বাড়ি থেকে সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনা এনে জড়ো করে রাখা হয় এসব রাস্তার পাশের ভাগাড়ে। তবে এসব ময়লা-আবর্জনা ঠিক সময়ে না সরানোয় রাস্তাগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় রাস্তা কোথাও কোথাও ছোট হয়ে গেছে।
কে বি আমান আলী রোডের মা পোল্ট্রি সেলস সেন্টারের মালিক মো. জাহেদ বলেন, ‘গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আবর্জনারগুলো রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে এভাবেই পড়ে আছে। দেখার যেন কেউ নেই। প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশ ভারী করে তুলেছে।
ফুলতলা এলাকার বাসিন্দা টিটু চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে আগে খালের ময়লা তুলে রাখা হয়েছে রাস্তার উপর। এখন এসব ময়লার ওপর ফেলা হচ্ছে বাসা-বাড়ির আবর্জনা। এখানে ময়লা জমাতে জমাতে পুরো রাস্তাটাই ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে।’
রাস্তা দিয়ে যাওয়া রিকশাচালক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দুপুরের পর থেকেই ময়লা ফেলা শুরু হয়। বিকেল হতে হতেই ময়লা জমে রাস্তায় এসে পড়ে। এসব আবর্জনা একনাগাড়ে কয়েক দিন রাস্তায়ই পড়ে থাকে বলে তিনি অভিযোগ করেন।’
জানতে চাইলে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলপতি মো. শফি উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খাল থেকে আবর্জনা তুলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। এর মধ্যে কিছু নিয়ে গেছে আবার কিছু রয়ে গেছে। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন নিয়ে যাবে। এরকম অবস্থা আরো বেশকিছু জায়গায়ও। আমি কাউন্সিলর মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেছি। উনিও কথা বলেছেন। আশাকরি সমস্যার সমাধান হবে।’
খালের আবর্জনার সাথে বাসা-বাড়ির আবর্জনা দেখা যাচ্ছে জানালে বিষয়টি স্বীকার করে নয়, কালকের ( সোমবার) মধ্যে আবর্জনারগুলো পরিষ্কারের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে জলাবদ্ধতার নিরসনে মেগা প্রকল্পে সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলীর কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘আপনার (প্রতিবেদকের) মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। আজকের ( রোববার) মধ্যেই আবর্জনাগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরবি