খালপাড়ে এত ফেনসিডিল খায় কারা?

খালে জমে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। আর পুরো খালজুড়ে ফেনসিডিলের খালি বোতল! সঙ্গে এনার্জি ড্রিংক ও জুসের প্যাকেটও। তবে সংখ্যায় বেশি ফেনসিডিলের বোতল। খালের পাড়ে তুলে রাখা হয়েছে বেশকিছু ময়লা-আবর্জনা।

সোমবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার এলাকার বালি আকের্ডের পশ্চিম পাশে সু-বসতি চক আকের্ড ভবনের সঙ্গে লাগানো খালে দেখা যায় এ চিত্র। খালটি পরিচিত ‘হিজড়া খাল’ নামে।

সরেজমিন দেখা দেখা, খালের ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে ফেনসিডিল বোতলের ছড়াছড়ি। এছাড়া বিভিন্ন এনার্জি ড্রিঙ্কের বোতল ও জুসের প্যাকেটও রয়েছে। খালের পাড় ঘেঁষে এক প্রান্তের রয়েছে একটি গ্যারেজ, অন্য প্রান্তে খাবারের দোকান।

আরও পড়ুন : চকবাজারে ভাসমান দোকানে বাড়ছে বখাটের আড্ডা, চলে মাদক বেচাকেনাও

এদিকে ফেনসিডিলের খালি বোতল কে বা কারা খালে ফেলেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে জনবহুল এলাকায় এতগুলো ফেনসিডিলের বোতল খালে কীভাবে এলো তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

কয়েকজন এলাকাবাসীর অভিযোগ, সন্ধ্যা হলেই খাবারের দোকান ঘিরে বসে জমজমাট আড্ডা। এ আড্ডার ফাঁকেই মাদক বেচাকেনা ও সেবন করা হয়। এরপর খালি বোতল ফেলা হয় খালে। বালি আকের্ড মার্কেটের কারণে এদিকে কারো নজর থাকে না। ফলে এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে মাদকসেবীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল বলেন, এই খালে এত ফেনসিডিলের বোতল এলো কীভাবে? দেখে মনে হচ্ছে, এটি খালপাড় নয়, মাদকের স্পট। বিষয়টি প্রশাসনের গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

খালের ময়লা তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজার হাসানুজ্জামান সায়েম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খালের ময়লা-আবর্জনার পরিষ্কার আমরা করছি না। এসব জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে। খালে অসংখ্য ফেনসিডিলের বোতল ভাসতে দেখেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়ালি উদ্দীন আকবর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এসব খালি বোতল কোথা থেকে আসছে দেখতে হবে। বিষয়টি যখন জানলাম অবশ্যই দেখব।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm