খাতুনগঞ্জে সর্দারকে খুন, রক্তমাখা ছুরি লুকায় ‘হিফস এগ্রো ফুড’র পাশে

নগরের খাতুনগঞ্জের চাঁন মিয়া লেইনে লেবার সর্দার মো. মাসুদ (৪০) খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— বাকলিয়া আমিন হাজী রোডের মোজাহের কলোনির ভাড়াটিয়া মো. জসিমের ছেলে মো. সোহাগ (২২) ও বাকলিয়া তক্তারপুল তজুম আলী বাড়ির মো. আলী হোসেনের ছেলে মো. সাইদুল হোসেন (২২)।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বাকলিয়া মোজাহের কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার কাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর আসামি সাইদুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক আসামি রাসেল মিয়াসহ (২২) অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়।

এদিকে গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি বাকলিয়া হাজী আমিনুর রহমান সড়কের হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের দক্ষিণ পাশের খালি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১৭ অক্টোবর সকালে খাতুনগঞ্জ চাঁন মিয়া লেইনের রাস্তা দিয়ে পিকআপ ঢোকার বিষয় নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মাসুদের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাসেল মিয়া ও তার সহযোগীদের নিয়ে একই স্থানে মাসুদকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। একপর্যায়ে সাইদুল হোসেন তার পকেট থেকে টিপ ছোরা বের করে মাসুদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মাসুদের ছেলে মো. বাবুল বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খাতুনগঞ্জের লেবার সর্দার মাসুদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান অভিযুক্তসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

এএইচ/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm