মিরসরাইয়ের চিহ্নিত শিবির ক্যাডার, নাশকতা মামলার আসামি এহছানুল হকের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তার পরিবার।
এহছানুল কয়েক বছর আগে তার ভাইকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেয়। বাকি চার ভাইকেও হত্যার হুমকি দেয়। সন্তানদের বাঁচাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার পাননি তার মা ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা জোৎস্না আরা বেগম।
আরও পড়ুন : বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলেন মেয়র
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে মিরসরাই প্রেস ক্লাবে এসে জোৎস্না আরা বেগম অভিযোগ করেন, ২০১০ সালে এহছানুল তার আপন ছোট ভাই ইসমাঈলকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার পর প্রাণে বাঁচলেও বর্তমানে সে পঙ্গু জীবনযাপন করছে। আরেক ছোট ভাই আব্দুল মান্নানকে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে সে। পরে মান্নান প্রাণে বাঁচলেও বর্তমানে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে জীবনযাপন করছে। সর্বশেষ গত ৩ ডিসেম্বর রাতে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এহছান নিজের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তার দুই ছোট ভাই দৈনিক ইত্তেফাকের মিরসরাই প্রতিনিধি মো. ইউসুপ ও কামরুল জামানের ওপর চড়াও হয়। একই সময় পরিবারের বড় সন্তান রেজাউল করিমের ওপরও হামলা হয়।
তবে মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে এহছানুল হক বলেন, ‘এসব মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প। উল্টো আমার ওপর জুলুম হচ্ছে। আমার মা যদি এসব বলে আপনারা যা খুশি তা করেন।’
এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর হামলার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় মামলা না করলেও মেঝ ছেলে এহসান উল্টো নিজের ভাইদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করতে যায়। পুলিশ সেটি অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। পরে তার মা অভিযোগ দিতে গেলে তা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন মামুনকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।