‘কুপিয়ে খুন’—কার সঙ্গে শত্রুতা ছিল আলমগীরের?

ফটিকছড়ি উপজেলায় মো. আলমগীর (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে খুন করেছে দুবৃর্ত্তরা ।

গত সোমবার (৭ মে) রাতে উপজেলার কাঞ্চনগর ইউনিয়নের ঝরঝরি গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (৮ মে) সকালে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

নিহত যুবক গ্রামের মুহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে। পেশায় কৃষক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে আলগমীর একা বাসায় ছিলেন। তাঁর স্ত্রী এক সপ্তাহ আগে বাপের বাড়ি যান। নিঃসন্তান আলমগীরের সাথে কারো ঝামেলা ছিল না। ঐদিন রাত সাড়ে দশটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ ঘুরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে আলমগীরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এর আগে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. নাবীল চৌধুরী বলেন, ‘হাসাপাতালে আসার পথেই আলমগীরের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মাথায় এবং ঘাড়ে একাধিক ধারালো কোপের আঘাত ছিল।’

নিহতের ভাই মুহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সাথে এলাকায় কারো ঝামেলা নেই। কিন্তু কে বা কারা কি কারণে আমার ভাইকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছে বুঝতে পারছি না। আমি এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।’

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!