মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ফসল, ঘরবাড়ি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় কয়েকটি ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ। বোরো ধান, ভুট্টা, সূর্যমুখী ফুল, আম ও ইট ভাটার কাঁচা ইটের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আজ (বুধবার) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।
এদিকে বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারে ব্যবসায়ী হোসেন সওদাগর প্রকাশ কসাই হোসেন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে ডুবে গেছে ২০ যাত্রীর স্পিডবোট, লাশ উদ্ধার
নিহতের নাতি খান মো. মোস্তফা বলেন, সকালে বজ্রপাতের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমার দাদা ইন্তেকাল করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে মিরসরাই সদর ইউনিয়ন, দুর্গাপুর, ওয়াহেদপুর, কাটাছরা ইউনিয়নসহ কয়েকটি জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। অনেক বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে গাছপালা ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী সাইফুল আহমেদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় তারের ওপর বড় বড় গাছ পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রায় ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ আপাতত বন্ধ রয়েছে। ভেঙে যাওয়া খুঁটি পরিবর্তন ও গাছ সরিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত—আনোয়ারায় ঝলসে গেল কিশোরের শরীর, টেকনাফেও ‘প্রাণহানি’ পানের বরজে
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় একশ হেক্টর বোরো ধান জমিনের মাটিতে পড়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় পানি জমে গেছে। তবে বৃষ্টি আর না হলে তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ধানের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ভুট্টা, সূর্যমুখী ফুল ও আমের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, আজ (বুধবার) সকালের দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে মিরসরাইয়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এ কারণে কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ নেই। এগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দুটি জায়গায় ঘর ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আজিজ/আরবি