কারাগারের গেট থেকেই চোখের জলে ‘মাকে চিরবিদায়’ জানালেন ছেলে

ছেলেকে মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখাতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়েছিল কারাগারের গেটে।

মৃত মায়ের মুখ দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল (৪৫)। বুকভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানা যায়, বুধবার (৪ জুলাই) হাটহাজারী উপজেলার ১২নং চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের লালিয়ারহাট বড়মীর পাড়া এলাকার সৈয়দ নুরুল আলমের স্ত্রী সৈয়দা আয়েশা খাতুন (৮২) মারা যান।

তাঁর এক ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চার মাস ধরে জেলে ও ছোট ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুক করোনাকালে বিমানের টিকিট না পেয়ে সৌদি আরবে আটকে আছেন৷ মায়ের মৃত্যুর সময় তাই কোনো ছেলে পাশে ছিলেন না৷

এদিকে কারাবন্দী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবালকে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তির জন্য অনেক চেষ্টা করা হলেও করোনার জন্য তা সম্ভব হয়নি।

তবে জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যদি জেলগেটে আনা হয় সেক্ষেত্রে ছেলেকে তার মায়ের লাশ দেখার সুযোগ দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১টায় লালদিঘী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে লাশ নেওয়া হলে সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল মাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পান। এসময় ইকবালের সঙ্গে তাঁর বোন রিনা আক্তারও কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আরও পড়ুন: আইসিইউ খুঁজতে খুঁজতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শ্রমিক নেতা

এ ব্যাপারে সৈয়দ ইকবালের চাচাতো ভাই সৈয়দ নেছার উদ্দিন বুলু বলেন, মায়ের মৃত্যুতে তার ছেলের প্যারোলে মুক্তি সম্ভব না হওয়ায় কারাগারের গেটে মাকে শেষবারের মতো দেখেছেন ইকবাল। একইদিন আছরের নামাজের পর লালিয়ার হাট হোসাইনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা মাঠে জানাজার পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার  মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন বন্দীর মা মারা যাওয়ার পর তার মাকে দেখতে দেওয়া একটি মানবিক কাজ। আমরা তার মাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ দিয়ে সেই মানবিক কাজটি করেছি৷

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!