কাদামাটির সড়ক—’ইউএনও’ দুঃখ ঘুচালো সন্দ্বীপপাড়ার ২৫০০ মানুষের

হাটহাজারীর সন্দ্বীপপাড়া। উপজেলার পিছিয়ে থাকা জনপদগুলোর একটি। প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বসতি এখানে। তাদের সবচেয়ে বড় দুঃখ মাটির সরু রাস্তা। বর্ষা এলেই দুঃখটা হয়ে যেতো সীমাহীন। কারণ ৮০০ ফুট রাস্তা তাদের পার হতে হতো জুতা হাতে নিয়ে। বর্ষায় প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর কাদা মাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া যেন নিত্যদিনের ঘটনা। যুগের পর যুগ এভাবেই কেটেছে তাদের।

সম্প্রতি সরকারি অর্থায়নে এই সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এই সড়কের ৬০০ ফুট অংশই কেবল সরকারি। এই অংশ নির্মাণের জন্য বরাদ্দও দেওয়া হয় সরকারিভাবে। এতে ৬০০ ফুট সড়ক নির্মাণ হয়ে যায়।

কিন্তু ড্রেন, কালভার্ট ও বাকি ২০০ ফুট অংশের জন্য বরাদ্দ না থাকায় এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই মেলেনি আড়াই হাজার মানুষের। কাদা মাড়ানোর কষ্ট থেকেই যায়।

আরও পড়ুন: হাটহাজারীর বিয়েকাণ্ড—বরের বয়স ২৪, কনে ১৩

হাটহাজারীর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন এই দুর্দশা লাঘবে উদ্যোগ নেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় স্বাবলম্বী কিছু মানুষের অর্থ সহায়তায় বাকি ২০০ ফুট সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি ড্রেন এবং কালভার্ট নির্মাণেরও উদ্যোগ নেন তিনি।

গত ১০ জুলাই থেকে শুরু হয় এই নির্মাণকাজ। ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৫০ টাকা ২০০ ফুট সড়ক এবং ড্রেন, কালভার্টের জন্য ২ লাখ টাকাসহ মোট ৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৫০ টাকায় নির্মাণকাজ শেষ করা হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম চা বোর্ডের উপ-সচিব (হাটহাজারীর সাবেক ইউএনও) রুহুল আমীন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘হাটহাজারীর সন্দ্বীপপাড়ায় ৮০০ ফুট সড়কের মধ্যে সরকারি রাস্তা ছিল ৬০০ ফুট। এটুকু অংশ সরকারি টাকায় নির্মাণ হয়। ২০০ ফুট সড়কের জন্য ওই এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কাটছিল না। আমি স্থানীয় স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই ২০০ ফুট সড়ক, ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিই। জুলাই মাসের ১০ তারিখ কাজ শুরু হলেও লকডাউন এবং বৃষ্টির কারণে এই কাজ শেষ হয় গত ৫ আগস্ট। এই কাজের জন্য যারা অর্থ সহায়তা ও শ্রম দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

সিএম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!