কলেজ ছাত্রের মৃত্যু—মামলা নিতে পুলিশের অনীহা, থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ

আনোয়ারার কলেজ ছাত্র মাসুমের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নেওয়ার দাবিতে থানা ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

সোমবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে এগারটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত থানার গেটের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শত শত মানুষ। এ সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় উভয়পাশে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে সোমবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটায় নামাজে জানাজা শেষে মাসুমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়।

আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল চুরি—আনোয়ারায়, পুলিশ পেল চকরিয়ায়

তবে স্বজনদের দাবি নিহত মাসুমের বাবা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেন।

নিহত মাসুমের ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার ভাইকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। উল্টো স্থানীয় প্রভাবশালীরা মামলা না করতে আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।

এদিকে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই নির্ভর করবে অপমৃত্যু নাকি হত্যা মামলা হবে।

এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মাসুমের ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যদি হত্যার আলামত পাওয়া যায় তাহলে হত্যা মামলা রেকর্ড করা হবে।

আরও পড়ুন: আনোয়ারায় অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী—পলাতক আসামিসহ পুলিশের জালে ৫

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর রাত দুইটায় উপজেলা সদরের পাশের ইছামতি এলাকা থেকে আনোয়ারা সরকারি কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাসুমের লাশ উদ্বার করে পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে মাসুম বাঁশ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে বলে ধারণা পুলিশের।

আনোয়ারা থানার সামনের এক ব্যবসায়ী ঘটনার দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে সাবেক এক ইউপি সদস্যের ছেলের সঙ্গে মোটরসাইকেলে মাসুমকে ঘটনাস্থলের দিকে যেতে দেখেন বলে পরিবারকে সদস্যদের জানান।

ইমরান/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!