কর্ণফুলীতে মো. কায়েছ (৩৩) নামে নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মইজ্জ্যারটেক আবাসিক এলাকার নির্জন জায়গা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি মো. দুলাল মাহমুদ।
নিহত কায়েছ পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার দৌলত খাঁ মুন্দার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে। তিনি ফিশারিঘাটে জাহাজশ্রমিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরে গাড়ির হেলপার হিসেবে কাজ করেন।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে মইজ্জ্যারটেক আবাসিক এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত যুবকের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, শুক্রবার দুপুরে কাজের উদ্দেশ্য ঘর থেকে বের হয়েছিলেন স্বামী। এরপর রাতে মুঠোফোনে বাড়ি আসার কথা জানিয়েছিলেন। সারারাত বাড়ি না ফেরায় ঘরের দরজা খোলা রেখেছিলাম। বারবার স্বামীর মোবাইলে কল দিয়ে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। সকালে খবর আসে ওনার লাশ পাওয়া গেছে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল মাহমুদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সঠিক কারণ জানা যাবে। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম