চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) নগরের চেয়ে তিনগুণ বেশি ছিল চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে শনাক্তের হার।
এদিন নগরের ১ হাজার ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
একইসময়ে চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৬৬ দশমিক শতাংশ ৬৬ শতাংশ।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭০৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। এরমধ্যে ৪৭৭ জন নগরের এবং ২২৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৫৯ হাজার ৩১৬টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৪৬ হাজার ২৬৩ জন নগরের এবং ১৩ হাজার ৫৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।
এদিকে গত তিনদিনে চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। উপজেলাগুলো হলো— ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড।
গত তিনদিনে ফটিকছড়িতে ৭৩ জন, হাটহাজারীতে ৫৪ জন, রাউজানে ৫৩ জন, মিরসরাইয়ে ৫৮ জন এবং সীতাকুণ্ডে ৮৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ১৪২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ৪ জন, বাঁশখালীর ৩ জন, আনোয়ারার ১ জন, পটিয়ার ৫ জন, বোয়ালখালীর ৭ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৬ জন, রাউজানের ১৯ জন, হাটহাজারীর ১৫ জন, ফটিকছড়ির ২৮ জন, মিরসরাইয়ের ২১ জন এবং সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ৩৩ জন।
বুধবার (৩০ জুন) জানা যায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ১১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ২ জন, বাঁশখালীর ৩ জন, আনোয়ারার ৯ জন, পটিয়ার ১ জন, বোয়ালখালীর ১ জন, রাঙ্গুনিয়ার ২ জন, রাউজানের ২০ জন, হাটহাজারীর ৩ জন, ফটিকছড়ির ৩২ জন, মিরসরাইয়ের ১৬ জন, সন্দ্বীপের ২ জন এবং সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ২৪ জন।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে ১৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ৬ জন, বাঁশখালীর ৩ জন, আনোয়ারার ৫ জন, চন্দনাইশের ৪ জন, পটিয়ার ৪ জন, বোয়ালখালীর ৮ জন, রাঙ্গুনিয়ার ১২ জন, রাউজানের ১৪ জন, হাটহাজারীর ৩৬ জন, ফটিকছড়ির ১৩ জন, মিরসরাইয়ের ২১ জন এবং সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ৩০ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে লকডাউন শুরু হয়েছে।
জেডএইচ