করোনার কঠোর বিধিনিষেধের মাঝেই হঠাৎ খুলে দেওয়া হলো গার্মেন্টস। গ্রাম থেকে শহরে স্রোতের মতো আসতে লাগল শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে আজ (১ আগস্ট) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে ছিল ‘শঙ্কা’। অপরদিকে এই জনস্রোতের ‘দায় কার’— এ প্রশ্ন সেতুমন্ত্রীর।
করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে দেশ। দিন দিন করোনার বিস্তার শুধু বাড়ছেই। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। এ পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে সরকার জারি করেছে কঠোর বিধিনিষেধ।
কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালেই হঠাৎ ঘোষণা এলো গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার। শ্রমিকদের স্বার্থে শনিবার রাত থেকে ১৬ ঘণ্টার জন্য চালু করে দেওয়া হলো গণপরিবহনও।
এদিকে বিধিনিষেধের (লকডাউন) মধ্যে গার্মেন্টস খুলে দেয়ায় সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে প্রথমবর্ষের এমবিবিএস ক্লাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজ (রোববার) থেকে গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তারা স্বাস্থ্যবিধি মানেনি। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, এখন দেশের উত্তরাঞ্চলে সংক্রমণ কম। মধ্যাঞ্চলে সংক্রমণ স্থিতিশীল। পূর্বাঞ্চল তথা কুমিল্লায় বাড়ছে। কিন্তু হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
অপরদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে রাজধানীমুখী জনস্রোতের কারণে করোনা পরিস্থিতির বিপর্যয় এবং করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী হলে এর দায় কার?
আজ (১ আগস্ট) সরকারি বাসভবন থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে সেতুমন্ত্রী এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের অনুরোধে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত করেছে সরকার। ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আশপাশের শ্রমিকদের নিয়েই প্রথমে কারখানা চালু করা হবে। আর ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন ৫ আগস্টের পর। এতে কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য চিত্র। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো রাজধানীমুখী জনস্রোত। এতে করোনা সংক্রমণের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করেন, শ্রমিকদের পথে পথে দুর্ভোগের দোষটা কার? কে এর দায় বহন করবে? যারা ভোগান্তিতে আছে তারা সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তো সরকারের এমন কথা ছিল না।
আলোকিত চট্টগ্রাম