অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্তদের শরীরে করোনার তীব্রতা অনেকাংশে কমে গেছে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কেউ মৃত্যুবরণ করেননি।
আবার টিকা নেওয়াদের মধ্যে রোগের তীব্রতা সাধারণ রোগীদের চেয়ে ৬৩ শতাংশ কম। এমনকি টিকা নেওয়াদের ৬৮ শতাংশের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়নি। যাদের প্রয়োজন হয়েছে, তাও খুব সামান্য।
সম্প্রতি ৮ চিকিৎসকের গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। কোভিড আক্রান্ত ১৭৪ জন রোগীর মধ্যে এই গবেষণা চালান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের ৮ জন চিকিৎসক।
গবেষণা বলছে, টিকা নেওয়া লোকদের করোনা রোগের তীব্রতা অনেক কম। টিকা নেওয়ার পর সব বয়সের মানুষের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধের খোঁজ পাওয়া গেছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রোগের তীব্রতা কম দেখা গেছে ৬৩ শতাংশের মধ্যে।
ভ্যাকসিনে কার্যকর প্রতিরোধ হচ্ছে জানিয়ে গবেষকরা জানান, ১৭৪ জন রোগীর মধ্যে ১১৯ জন প্রথম ডোজ এবং ৫৫ জন দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ গ্রহণকারী ৩ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া কারো মৃত্যু হয়নি।
গবেষকদের একজন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক ডা. রজত শংকর রায় বিশ্বাস বলেন, মূলত দেশে অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিরূপণে এই গবেষণা। যারা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন তাদের মধ্যেই এই গবেষণাটি চালানো হয়। গবেষণায় দেখা যায় অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও কার্যকর। তাই যতদ্রুত সম্ভব দেশের সিংহভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেলে কোভিড নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
গবেষণায় অংশ নেওয়া অন্য চিকিৎসকরা হলেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. শুভ দাশ, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডা. মিনহাজুল হক, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রজত শংকর রায় বিশ্বাস, ডা. নাদীয়া ইসলাম টুম্পা, ডা. আয়েশা আহমেদ খান, প্রফেসর ডা. মো. এহসানুল হক, ডা. সাফাতুজ্জাহান ও ডা. কাজী ফরহাদ আহমেদ।
গবেষণাটি চিকিৎসকদের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত এবং ইথিকাল বোর্ডের অনুমতি নেওয়া। এছাড়া বিএমজে ইয়েলে প্রিপ্রিন্ট হিসেবে গবেষণাটি ছাপানো হয়েছে বলে জানান ডা. রজত শংকর রায় বিশ্বাস।
আরবি