কক্সবাজার রুমে নিয়ে বেঁধে ৪ যুবককে পিটিয়েছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সিপাহি হেলাল ও মুস্তাফিজ। ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে তর্কের জেরে রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে কক্সবাজার রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা রেলস্টেশনে এসে অভিযুক্ত দুই সিপাহীর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরে সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, রোববার বিকেল ৪টার দিকে রেলস্টেশনে সামনে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে তর্কের জেরে ওসমান গণি নামের এক যুবকসহ চারজনকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর স্টেশন ব্যারেকের রুমে নিয়ে বেঁধে বেদম মারধর করে সিপাহী হেলাল ও মোস্তাফিজ। পরে খবর পেয়ে আহতদের স্বজন ও শিক্ষার্থীরা রেলস্টেশনে এসে বিক্ষোভ করে। এসময় অভিযুক্ত দুই সিপাহি হেলাল ও মোস্তফিজ একটি রুমে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে আহত ওসমান গণিকে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথা ও চোয়ালে জখম হয়েছে। তবে আরএনবির দাবি, পালাতে গিয়ে ওসমান আহত হয়েছেন৷
এদিকে মারধরের শিকার যুবক ও স্বজনেরা কক্সবাজার থানায় মামলা করতে যান। তবে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান এবং রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযুক্ত দুই সিপাহির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য ও এক যুবকের মধ্য তর্কের জেরে স্টেশনে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। আহত যুবককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এটি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিষয়। আমরা কেবল সহযোগিতা করেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
একই প্রসঙ্গে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চট্টগ্রামের কমান্ড্যান্ট মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে তর্কের জেরে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ওসমান গণি নামে এক যুবক সামান্য আহত হন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমি থানা পুলিশ ও সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটমাট করেছি। আরএনবি সদস্যের দোষ খুঁজে পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী কক্সবাজার স্টেশনের ইন্সপেক্টর মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের দুজন সিপাহির সঙ্গে এক যুবকের তর্ক হয়েছে। কাউকে রুমে এনে মারধর করা হয়নি। তাদের কথা বলার জন্য রুমে আনা হয়েছিল।
সিএম/আলোকিত চট্টগ্রাম