কক্সবাজার—একদিনেই পানিতে ডুবে মারা গেল ৪ শিশু

কক্সবাজারে একদিনে সমুদ্র ও পুকুরের পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

টেকনাফে ফুটবল খেলা শেষে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে আরাফাত নামে ১২ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১ অক্টোবর)  সকাল সাড়ে ১০টায় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের পুরানপাড়া সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ জিরো পয়েন্ট সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়া শাহীন নামের অপর একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে টেকনাফের সাবরাং পুরানপাড়ার মুহিব উল্লাহর শিশুপুত্র আরাফাত (১২) বন্ধুদের সঙ্গে সাগরের পানিতে গোসল করতে নামে। এ সময় ভাটার টানে ডুবে যায় আরফাত ও তার বন্ধু মো. শাহীন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে। পরে আরাফাতের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন : ‘বিপদসংকেত’ কক্সবাজার—সমুদ্রসৈকতে চোখের পলকেই ৪ মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫—২০ জন কিশোর সৈকতের বালিয়াড়িতে ফুটবল খেলার পর সমুদ্রে গোসল করতে নামে। এ সময় হঠাৎ আরফাতসহ দুজন পানিতে ডুবে যায়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আরফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুতুবদিয়ায় ৩ শিশুর মৃত্যু

এদিকে কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরুং ও উত্তর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পৃথক স্থানে পানিতে ডুবে আরো ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হল-দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের বৈদ্যারপাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে রিফাত (৪), একই ইউনিয়নের আশার হাজীরপাড়া সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (১) ও উত্তর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হামিদুল হাসানের মেয়ে সুমাইয়া (৩)।

তিন শিশুই খেলতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখা যায়। দ্রুত উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

উত্তর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা নিহত সুমাইয়ার চাচা নাছির বলেন, সুমাইয়া বাড়ির পাশে সবার অজান্তে খেলা করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বলরাম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!