কক্সবাজারে ১৪ ঘণ্টায় ৬ মরদেহ, কেন—কীভাবে

কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল থেকে ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, সদর থানা এলাকার মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তিনজন পর্যটক ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা। আরেকজনের মরদেহ গলিত উদ্ধার করা হয়েছে। যার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি ইলিয়াস খান আরও বলেন, তিন পর্যটকের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয় রোববার (৪ জুন) মধ্যরাতে সৈকতের ডায়াবেটিস পয়েন্ট থেকে। তিনি চট্টগ্রামের ডিসি রোড এলাকার নজির আহমদের ছেলে মো. রাজিব। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল তিনি।

আরও পড়ুন : বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে সাগরে ভেসে যাওয়া রাজীবের লাশ মিলল, বাসা দেওয়ানবাজারে

পরদিন সোমবার (৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে বাবা-ছেলে একসঙ্গে গোসলে নেমে ভেসে যাওয়ার সময় তাদের উদ্ধার করা হয় সৈকতের সায়মন পয়েন্ট থেকে। পরে রাজশাহীর শাহীনুর রহমান ও ছেলে সিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

এর আগে একইদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাগরের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে উদ্ধার হয় কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার নুরু সওদাগরের মরদেহ। তিনি রোববার বিকেলে শখের বশে মাছ ধরে গিয়ে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে ভেসে যান।

পরে একইদিন বেলা ১২টার দিকে খুরুশকুলের আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকা বাঁকখালীর মোহনা থেকে উদ্ধার হয় আরও একটি অজ্ঞাত গলিত মরদেহ। যার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. তৈয়বুর রহমান জানান, সমুদ্রসৈকতের হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকায় সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একটি মরদেহ উদ্ধার হয়। তবে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন : রক্তবমির পর মারা গেলেন কক্সবাজারে সাগরে নামা বাবা-ছেলে

সিসেইফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল নেমে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গুপ্ত খাল তৈরি হয়। যেখানে পড়ে বিপদগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটকরা। আজ সকাল থেকেই বিপদগ্রস্ত ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি।

সিফাত আরও বলেন, যে সংখ্যক পর্যটক মাত্র ২৭ জন লাইফগার্ড কর্মী দিয়ে তদারকি সম্ভব নয়। তাও আবার দুই শিফটে ভাগ হয়ে ১৩ জন করে দায়িত্বরত থাকে। লাইফগার্ডের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm