কক্সবাজারে দুদিনের অভিযানে ধরা খেল ৭, অস্ত্র উদ্ধার

কক্সবাজার অস্ত্রসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

সোমবার ও মঙ্গলবার (২ ও ৩ ডিসেম্বর) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন— কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরীপাড়ার বজল কবিরের ছেলে অটোরিকশা চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. ওসমান (৫৪), সমিতিপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)।

আরও পড়ুন : আনোয়ারায় ডাকাতির আগেই ধরা খেল ৬ ডাকাত

পুলিশ সূত্রে জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাট জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশা তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। এসময় গাড়িতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেওয়া তথ্যে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস ও মো. ওসমানকে আটক করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ বিদেশি ও দেশি তৈরি ৫টি চাকুসহ ৫ ছিনতাইকারিকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় মো. সাহেদ হোসেন, মো. রহিম, মো. রাকিব, শহীদ হোসাইন ও মো. আব্দুর রহিমকে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, পুরো জেলাজুড়ে সন্ত্রাস, ছিনতাইকারি কিংবা অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। আশা করছি সামনের দিনে আইনশৃঙ্খলার উন্নতিসহ অপরাধ দমনে পুলিশ আরও কঠোর ভূমিকা পালন করবে।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm