ওসি প্রদীপের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বাতিলে আদালতে আবেদন

আলোচিত সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদক বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে।

রোববার (৯ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইলের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার দুপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। সেখানে ওসি প্রদীপের পুরস্কার ও পদক বাতিলের আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফরিদুল আলম।

এ বিষয়ে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, আজ (রোববার) সকাল সোয়া ১০টার দিকে আসামিদের উপস্থিতে দুপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। এ সময় সিনহা হত্যাসহ নানা অপরাধমূক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশের যাবতীয় রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদক বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় ‘ওসি প্রদীপের’ বিরুদ্ধে চার্জ গঠন, মিলল না জামিন

তিনি আরও বলেন, যুক্তিতর্কের জন্য নবম দফায় ৯, ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে অষ্টম দফায় আদালত মূলতবির আগে ১৫ আসামি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় লিখিত বক্তব্য দেন। আলোচিত এ মামলায় ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হলেও এ পর্যন্ত ৬৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে ওসি প্রদীপের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদক বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সচেতন মহল।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে।

এরপর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

বলরাম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!