চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ওষুধ চোরচক্রের দুই সদস্যকে আটক করে পুরস্কার পেলেন এসআই নুরুল আলম আশেক।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন : মেয়াদ ছাড়া ওষুধ বেচে লাজফার্মা—রুহান মেডিসিন
গত সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চমেক হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী সৈয়দ আহমেদ (৬২) এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মচারী আশু চক্রবর্তীকে (৩৫) ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার সরকারি ওষুধসহ আটক করে পুলিশ। চুরি করে এসব সরকারি ওষুধ হাসপাতালের আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসিতে বিক্রি করত চোরচক্র।
এ ঘটনায় চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক বলেন, যেকোনো পুরস্কার আনন্দের। সেইসঙ্গে বাড়িয়ে দেয় কাজের গতি। গরিব রোগীদের জন্য বরাদ্দ ওষুধ চুরি ধরা আরও গর্বের৷
সেজন্যই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গেলে বিনা পয়সায় চিকিৎসা পেলেও , এক টাকার ঔষধ মানুষের ভাগ্যে জোটে না। জন জন করে টাকা দিলে চিকিৎসা মিলে। এগুলোকে জনসম্মুখে লোহার খাঁচার ভিতর ঢুকিয়ে মানুষের সামনে প্রদর্শনী করা উচিত। তাহলে হয়তো এ প্রাণীগুলোকে দেখে মানুষ মূল্যবোধ কাজ করবে। না হলে এরা দুইদিন পরে জামিন নিয়ে বের হয়ে যাবে। এমন ভাবে শাস্তি দিন যাতে মেডিকেলের অন্যরা দেখে। অপরাধের শাস্তির নমুনা হোক 2000 22 সালের শাস্তির শুভ যাত্রা।