এ যেন ইউরোপ-আমেরিকা

ইউরোপ-আমেরিকার গল্প কম-বেশি সবারই জানা। উন্নত এসব দেশে যানজট নেই। রাস্তায়ও খুব বেশি মানুষের জটলা চোখে পড়ে না। কোরবানের এই খুশির ঈদে এমনই রূপ পেয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।

ঈদুল আজহা উদযাপনে পরিবার-পরিজন নিয়ে নগর ছেড়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। এতে রাজপথ এখন প্রায় ফাঁকা। রাজপথের পরিচত দৃশ্য পাল্টে হয়েছে ভিন্ন এক চিত্র।

নেই চিরচেনা যানজট কিংবা ফুটপাত দখল। মানুষের কোলাহল বা হকারদের হাঁকডাকও নেই। এই রূপ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে ঈদে নগরে থাকা মানুষদের কাছে।

নগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহনের সংখ্যা একেবারেই কম। কমে গেছে রিকশার সংখ্যাও। তবে হাতেগোনা যেসব মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার চলছিল সবগুলোই দ্রুতগতিতে। দ্রুতগামী এসব বাইক বা কার চালকের বেশিরভাগই তরুণ।

নগরের সব মার্কেট বন্ধ। এমনকি ওষুধের দোকান ছাড়া ব্যস্ত রাস্তার ধারে আর কোনো দোকান খোলা দেখা যায়নি। রাস্তা পেরিয়ে আবাসিক এলাকাগুলোও একেবারে নির্জন।

সকালে নগরের ব্যস্ততম রাজপথ টাইগারপাস মোড়ে গিয়ে চোখে পড়েনি প্রতিদিনের যানজট। কোথাও ছিল না পথচারীর ভিড়। সদাব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশেরও সময় কাটছে স্বস্তিতে।

এদিকে লালখানবাজার ও বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারও ছিল প্রায় ফাঁকা। ফ্লাইওভারের উপর হাতেগোনা কয়েকটি গাড়ি চলতে দেখা গেছে। আশপাশের অন্যান্য এলাকার রাস্তাগুলোও ছিল ফাঁকা।

বেলা ১২টার দিকে জামালখানের রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেল ভূপেষ মাঝবয়সী এক ভদ্রলোককে। ফাঁকা সড়কে হাঁটার অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজ মনে হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায় আছি। এভাবে যদি প্রতিটি দিন কাটাতে পারতাম।’

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm