এবার বাঁশখালীর ধানক্ষেতে পাওয়া গেল বন্য হাতি

বাঁশখালীর চাম্বল বনবিট অফিসের অদূরে জঙ্গল চাম্বল গ্রামের ধানক্ষেতে একটি বন্য হাতি মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে হাতিটি মারা যায়। শুক্রবার সকালে পাহাড়ের লোকজন হাতিটি দেখতে পান।

এর আগে গত শনিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, মঙ্গলবার শেরপুরের শ্রীবরদী এবং বুধবার কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তিনটি মৃত হাতি উদ্ধার করা হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাতির পেটের নিচে রক্তক্ষরণের চিহ্ন ছিল। আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তির ধানক্ষেতে মারা যায় হাতিটি।

দুপুর ৩টায় হাতির ময়নাতদন্ত করেন চকরিয়া সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান ও বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া।

আরও পড়ুন : বাঁশখালীতে বিজিবি, দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করবে সরকার

ময়নাতদন্তের পর হাতির শূড় ও অন্যান্য অংশ সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা যায়।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরাতে তিনটি হাতির পাল পৃথকভাবে ঘোরাঘুরি করে। এক পালে ৭টি, অপর দুই পালে ৫টি ও ২টি হাতি রয়েছে। মারা যাওয়া হাতিটি ২টি হাতিওয়ালা পালের ১টি হতে পারে।

স্থানীয়রা বলেন, চাম্বল পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রায় ৫০ শতাংশ দখল করে কয়েক হাজার অবৈধ ঘর-বাড়ি গড়ে উঠেছে। এমনকি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বৈদ্যুতিক লাইনও সঞ্চালিত হয়েছে। ফলে হাতির দল খাদ্য সংকটে বনের পাশের লোকালয়ে এসে নানাভাবে মারা যাচ্ছে।

বাঁশখালীর বন বিভাগের জলদি রেঞ্জের রেঞ্জার শেখ আনিচ্ছুজ্জামান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, হাতির মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের আগে কিভাবে মারা গেছে তা বলতে পারছি না।

বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, হাতির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের ফলাফল পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন হবে। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু, নাকি হত্যা করা হয়েছে তা এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

উজ্জ্বল/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!