এবার ধরা খাচ্ছেন আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। বাঁশখালী আসনে আওয়ামী লীগের এই সাবেক সংসদ ও তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিলেছে ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য।
দুদক বলছে, মোস্তাফিজুর রহমান ও শাহীন আক্তারের ২৭টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে একাধিাবার সমালোচনার ঝড় তোলেন বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোন্তাফিজুর৷ সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাফিজুর ও তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তারের ২৭টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে অর্জিত পৌনে ১৯ কোটি টাকারও বেশি অর্থের উৎস গোপন করতে ২১টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে স্বামীর অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টা করতে গিয়ে মানি লন্ডারিং আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন শাহীন আক্তার চৌধুরী। তাঁর নামে ৩ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে।
দুদক অনুমোদিত পৃথক দুটি মামলায় মোস্তাফিজুর ও শাহীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক মামলা দায়ের করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে দুদক সূত্র।
জেজে/আলোকিত চট্টগ্রাম