রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রামেও অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। করোনা পরীক্ষার এই পদ্ধতিতেও চট্টগ্রামে শনাক্তের হার অনেক বেশি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার প্রায় ২৪ শতাংশ।
একইসময়ে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫০৬টি নমুনা পরীক্ষা করে (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ২২৬ জন নগরের এবং ১৪২ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
২৪ ঘণ্টায় তিন করোনা রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৯১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৫৮ হাজার ৩৬৫টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ৫২৫ নমুনা পরীক্ষা করে ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৫ নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় ৪০ জনের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ১৪৯টি নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৬ জনের।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮২ নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৯৫ নমুনা পরীক্ষায় ৩৪ জন, শেভরন ল্যাবে ২২৪ নমুনা পরীক্ষায় ৩৪ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১ নমুনা পরীক্ষায় ১১ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৬৩ নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৭ নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এর বাইরে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪৪টি নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের নমুনায় করোনা মিলেছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ৪ জন, বাঁশখালীর ৩ জন, আনোয়ারার ১ জন, পটিয়ার ৫ জন, বোয়ালখালীর ৭ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৬ জন, রাউজানের ১৯ জন, হাটহাজারীর ১৫ জন, ফটিকছড়ির ২৮ জন, মিরসরাইয়ের ২১ জন এবং সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ৩৩ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে ফের শুরু হয়েছে লকডাউন।
জেডএইচ
