রাউজানে এক রাতে ৩ মৃত্যু, দুটি ঘিরে প্রশ্ন
রাউজানে একই রাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে ও শনিবার (২৯ জুন) ভোরে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— রানী বালা (৪৬), আবদুল করিম (১৯) ও মো. ইউনুস মিয়া (৫৫)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১০টার দিকে রাউজান পৌরসভার জলিল নগর বাস স্টেশন সংলগ্ন আপন বাড়ি রেস্তোরাঁর সামনে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক পার হওয়ার সময় উল্টোপথে আসা একটি পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ইউনুস মিয়া। পরদিন শুক্রবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ইউনুস মিয়া রাউজান সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী সারাং বাড়ির শামসুল আলমের ছেলে।
এ বিষয়ে রাউজান হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করায় গাড়িচালক জাহেদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷’
আরও পড়ুন : রিয়াজউদ্দিন বাজারে দাউ দাউ আগুন, শ্বাস বন্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যু
এদিকে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের মীরাপাড়া গ্রামের আবদুল ওহাব তালুকদার রাড়ির বৈজ্যপুকুর থেকে আবদুল করিম (১৯) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ মৃত্যু ঘিরে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আবদুল করিম নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ হাতিয়া এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আবদুল করিম একই এলাকায় কৃষি কাজ করতেন। ওইদিন সন্ধ্যায় তার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল বলেন, ছেলেটি চুক্তিভিত্তিক কৃষি কাজ করত। পুকুরে তার মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানি না।
রাউজান থানার পূর্বগুজরা তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ লাল ঘোষ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিক ধারণায় পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হতে পারে। স্থানীয়দের ভাষ্য ছেলেটি নাকি সাঁতার জানত না।
অন্যদিকে শনিবার (২৯ জুন) ভোরে উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের সুরঙ্গা গ্রাম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রাণী বালা নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কেন রাণী বালা আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনার দিন বড় ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজারের একটি মন্দিরে যায়। সেখান থেকে রাত ৪টায় বাড়িতে ফিরে মাকে ডাকলে সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখতে পান মা ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে। পরে থানায় খবর দিলে চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
যোগাযোগ করা হলে রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সুড়ঙ্গায় রাণীবালা নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম
