চট্টগ্রামে একদিনের ব্যবধানে করোনা রোগী বেড়েছে দেড়গুণেরও বেশি। করোনা শনাক্তে হয়েছে নতুন রেকর্ড।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৩৮ নমুনা পরীক্ষায় ৫৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা শনাক্তের রেকর্ড।
এদিন শনাক্তদের ৪১৪ জন নগরের এবং ১৪৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
একইসময়ে জেলায় ৫ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। যার মধ্যে নগরের ১ জন ও উপজেলার বাসিন্দা ৪ জন।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৬০ হাজার ৯২৭ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার (৫ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। আগেরদিন চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয় ৩৬৯ জনের।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৪ নমুনা পরীক্ষায় ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিআইটিআইডি ল্যাবে ৩৬৮ নমুনা পরীক্ষায় ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ১২৯ নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৯ জনের।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭৪ নমুনা পরীক্ষায় ৭২ জন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৭০ নমুনা পরীক্ষায় ৭ জন, অ্যান্টিজেন টেস্টে ২০৮ নমুনা পরীক্ষায় ৬৫ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৯১ নমুনা পরীক্ষায় ৮০ জন, শেভরন ল্যাবে ১৯৫ নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯ নমুনা পরীক্ষায় ২১ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৩০ নমুনা পরীক্ষায় ২১ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১১০ নমুনা পরীক্ষায় ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ২ জন, সাতকানিয়ার ৫ জন, বাঁশখালীতে ১০ জন, চন্দনাইশের ১ জন, পটিয়ার ১২ জন, বোয়ালখালীতে ৭ জন, রাঙ্গুনিয়ার ১৫ জন, রাউজানের ৩৬ জন, ফটিকছড়ির ৬ জন, হাটহাজারীর ১১ জন, সীতাকুণ্ডের ১৮ জন, মিরসরাইয়ের ৯ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ৪ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে এখন লকডাউন চলছে।
জেডএইচ