রাঙ্গুনিয়ায় একই পরিবারের ৩ প্রার্থী—প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাকি কেন্দ্র দখলের কৌশল

রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে স্বামী, স্ত্রী, দেবরসহ একই পরিবারের ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এক প্রার্থীর অভিযোগ, এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, কেন্দ্র দখলের কৌশল। সবমিলিয়ে বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য রাঙ্গুনিয়ায়’ পরিণত হয়েছে।

একই পরিবারের তিন প্রার্থীরা হলেন- ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত কবির আহমদের ছেলে বর্তমান মেম্বার আবু আবছার (বৈদ্যুতিক পাখা), তাঁর স্ত্রী মোহছেনা বেগম (তালগাছ) ও ছোট ভাই নুরুল আবছার (মোরগ)।

আরও পড়ুন: ঘটনাবহুল সীতাকুণ্ডে ৪ প্রার্থী আটক−৩ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত, আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক

অন্য তিন প্রার্থী হলেন- সাইফুদ্দিন আজম (তালা), জাহাঙ্গীর আলম (ফুটবল) ও মো. ইকবাল (টিউবওয়েল)।

এদিকে একই পরিবারের ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হওয়ায় এলাকার ভোটারদের মাঝে কৌতুহল দেখা গেছে। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন প্রার্থীর এক আত্মীয় জানান, ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেম্বার নির্বাচিত হন আবু আবছার। কিন্তু এবার নির্বাচনি মাঠে নিজ ভাই ও স্ত্রী প্রার্থী হওয়ায় তিনি কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। স্বজনদের কেউ কারো পক্ষেই জোরালো ও প্রকাশ্য কোনো ভূমিকা নিতে পারছেন না। তবে শেষদিকে যার পাল্লা ভারী থাকবে তাকেই আত্মীয়স্বজনরা সমর্থন দেবেন বলে জানান তিনি।

তবে বাপারটিকে এভাবে দেখছেন না প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর অভিযোগ, একই পরিবারের ৩ জন প্রার্থী হওয়া মানে এটি তাদের কেন্দ্র দখলের কৌশল। নির্বাচনের দিন যাতে কেন্দ্রের রুমগুলোতে তারা বেশি এজেন্ট রাখতে পারে।

আরও পড়ুন: কেন ঘোড়ার লাগাম টানলেন—জানালেন মিরসরাইয়ের বিদ্রোহী প্রার্থী

এ ব্যাপারে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. বয়োজীদ আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যেকেউ শর্ত পূরণ করে প্রার্থী হতে পারেন। সেহেতু একই পরিবারের ৩ জন ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ায় কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতিন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!