রাঙ্গুনিয়ায় ঋণ গ্রহীতার ছুরিকাঘাতে চম্পা রাণী চাকমা (২৯) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা খুন হয়েছেন।
রোববার (৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ধামাইরহাট এলাকার বারেক বিল্ডিংয়ের এইচএ প্লাজায় অবস্থিত এনজিও সংস্থা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ‘পদক্ষেপ’ অফিসের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চম্পা রাণী চাকমা রাঙামাটি জেলার বন্দুক ভাঙা ইউনিয়নের চাকরাছড়ি গ্রামের শান্তিময় চাকমার মেয়ে। তিনি এনজিও সংস্থা পদক্ষেপের হোচনাবাদ শাখার সহকারী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (লোন) শাখায় কর্মরত ছিলেন।
পদক্ষেপের সহকারী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (হিসাব) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়ার পশ্চিমপাড়া এলাকার নুরুজ্জামানের মেয়ে আয়শা আকতার পদক্ষেপ থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণের টাকা পরিশোধ করতেন তার ভাই এনামুল হক। কিস্তির টাকা উত্তোলন করতে গেলে এনামুল টাকা দিতে চাইতেন না, বিভিন্ন তালবাহানা করতেন। আজ রাতে অফিসের মিটিং শেষে চম্পা চাকমা বেড়িবাঁধের তার ভাড়া বাসায় যাওয়ার জন্য অফিস থেকে নামছিলেন। এ সময় অফিসের সিঁড়ির নিচে এনামুল দাঁড়িয়েছিলেন। চম্পা চাকমা যখন নিচে নামল, এনামুল তাকে দাঁড় করিয়ে ঋণ সংক্রান্ত কথা কাটাকাটি করছিল। এ সময় এনামুল তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সহকর্মীরা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ঘাতক মো. এনামুল হক (৩০) উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়ার পশ্চিমপাড়া এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব মিল্কি বলেন, মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র (পদক্ষেপ) হোচনাবাদ শাখা থেকে হত্যাকারী এনামুল তার বোনের নামে ১ লাখ টাকা লোন নিয়েছিল। লোন পরিশোধকে কেন্দ্র করে রাত ৮টার দিকে ভিকটিম চম্পা চাকমার সাথে এনামুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাস্তার ওপর এনামুল চম্পার গলায় ছুরি চালায়। সম্ভবত ছুরির আঘাতে তার শ্বাসনালী কেটে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
তিনি বলেন, আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।